বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ— সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের করণীয় সম্পর্কে বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) নিজেদের স্বার্থগুলোকে রক্ষা করে কৌশলগত আলোচনার মাধ্যমে লাভ বের করে নিয়ে আসাটাই বাংলাদেশের লক্ষ্য হওয়া উচিত। এ বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমানে চলমান আলোচনাগুলোতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এই খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষা’ শীর্ষক দিনব্যাপী নীতি-পর্যালোচনামূলক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সিপিডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার ২৬ জন পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
কর্মশালায় সিপিডির আরেক বিশেষ ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে বাংলাদেশের উচিত হবে প্রাপ্ত সুযোগগুলোর সদ্ব্যবহার করা। এবং একই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতির দৌড়ে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য সরবরাহ সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আসন্ন এমসি-১১-তে শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য সেবা খাতে ছাড় প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে সরবরাহ সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। আঞ্চলিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রাপ্য সুবিধা ভোগ করা সম্ভব।সিপিডি বলেছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আসন্ন ১১তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে (এমসি-১১) আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো যথাযথভাবে বোঝার জন্য এগুলোর বিভিন্ন দিক গভীরভাবে জানা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে এমসি-১১-এর এজেন্ডা নির্ধারণসহ কৌশলগত আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের উচিত কৌশলগত জোট গঠনের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোযোগ দেওয়া।