কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টনি (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল  থেকে ১টি বিদশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন ও ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি বন্দুকযুদ্ধের সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। নিহত টনি সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা মাঠে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত টনির পিতা আলম মণ্ডল জানান, ‘গ্রাম থেকে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পুলিশের লোকজন টনিকে আটক করে নিয়ে যায়। সকালে খবর পাই সে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খান জানান, একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে দৌলতপুর-কাতলামারী সড়কের বালিয়াডাঙ্গা মাঠের মধ্যে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানার এসআই রহিমের নেতৃত্বে পুলিশের টহল দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। ঘণ্টাব্যাপী চলা বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের  লোকজন ও স্থানীয়রা সন্ত্রাসী টনিকে শনাক্ত করেন। তিনি উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।