রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

‘কবিদের আলোকবর্তিকা শামসুর রাহমান’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘কবিদের আলোকবর্তিকা শামসুর রাহমান’

কবি শামসুর রাহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, শামসুর রাহমান ছিলেন কবিতার শিক্ষক। তিনি আমাদের কবিতা লিখতে পড়তে শিখিয়েছেন। আর জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং জীবনের সমস্ত অঙ্গন মিলিয়ে তিনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের আলোকবর্তিকা। গতকাল বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ ও কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদ। জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শামসুর রাহমানের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে বক্তৃতা করেন কবি রবিউল হুসাইন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সভাপতি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কবি কাজী রোজী। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবির পুত্রবধূ টিয়া রহমান, দুই নাতনি ন্যায়না রহমান ও দ্বীপিতা রহমান। বক্তারা বলেন, কবি শামসুর রাহমান ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার মতো সাহসী কবি খুবই কম আছেন।

আলোচনা-পরবর্তী সাংস্কৃতিক পর্বে কবির লেখা গান পরিবেশন করেন শিল্পী রফিকুল আলম ও বুলবুল মহলানবীশ। শামসুর রাহমানের রচনাবলি থেকে পাঠ করেন লায়ল আফরোজ, মাহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, তামান্না সরোয়ার নিপা প্রমুখ। ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতার সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যজনের নাফিরা ও রূপন। কবিকে নিবেদিত কবিতা পাঠ করেন আজিজুর রহমান আজিজ, রবীন্দ্র গোপ, আমিনুর রহমান সুলতান, নাহার ফরিদ খান, বদরুল হায়দার, হানিফ খান, ফণিন্দ্রনাথ রায়, এম আর মনজু, গিয়াস উদ্দিন চাষা, শরাফত হোসেন, আনিস মুহম্মদ, ডি কে সৈকত, কাব্য কবির, জেবউন নেছা মিনা, ইমন শাহ, জব্বার আল নাইন।

দ্য থার্ড টাওয়ার অব বাবেল : আরণ্যক নাট্যদল আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমিতে চলমান ‘পুষ্প ও মঙ্গল ’ নাট্য উৎসবের সমাপনীতে নিজেদের শৈল্পিকতায় এ দেশের অগণিত শিল্পানুরাগী নাট্য দর্শককে মোহনীয়তার সাগরে ভাসিয়েছেন হংকংয়ের নাট্যশিল্পীরা। প্রতিটি দৃশ্য, সংগীত, নৃত্য ও সংলাপের শেষে মুহুর্মুহু করতালিতে এ দেশের নাট্যপ্রেমীরাও তাদের অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করেননি। ভিন্নধর্মী এই নাট্য প্রযোজনাটির নাম ছিল ‘দ্য থার্ড টাওয়ার অব বাবেল’। যার বাংলা নাম দাঁড়ায় ‘বাবেলের তৃতীয় স্তম্ভ’।

গতকাল উৎসবের সমাপনী সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে এ প্রযোজনাটি মঞ্চায়ন করে হংকংয়ের নাট্যদল এশিয়ান পিপলস থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল সোসাইটি।

চট্টগ্রামের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী : চট্টগ্রামের চারুশিল্পীদের শিল্পকর্ম নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘বিউটি অব নেচার’ শীর্ষক আট দিনের দলীয় প্রদর্শনী। চট্টগ্রাম চারুশিল্পী পর্ষদ, ঢাকা ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে শুক্রবার একাডেমির চিত্রশালায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রবীণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। চট্টগ্রাম চারুশিল্পী পর্ষদ, ঢাকার সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিল্পী সুলতান পারভেজ লিখন, প্রদর্শনী উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক শিল্পী স্বপন আচার্য ও সদস্যসচিব শিল্পী বিজয় চন্দ রামু। প্রয়াত ভাস্কর অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ স্মরণে প্রদর্শনীটি উৎসর্গ করা হয়েছে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ৩ নভেম্বর শেষ হবে এ প্রদর্শনী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর