রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের সব ধরনের আগাম প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজকের মধ্যে নিজ উদ্যোগে এ কাজ করতে বলেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি। এদিকে গতকাল চিঠির আলোকে রংপুর সিটিতে পোস্টার ও প্রচারণাসামগ্রী অপসারণে দিনভর মাইকিং করা হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে প্রচার সামগ্রী অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। রংপুর সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই গতকাল ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহম্মদ খান বিভাগীয় কমিশনার বরাবর এ চিঠি দিয়েছেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে আগাম প্রচারসামগ্রী অপসারণে নির্দেশনা দিয়ে এলেও এবার আগাম হুঁশিয়ারি দিল ইসি। তবে পোস্টার অপসারণ না করলেও পরবর্তীতে প্রার্থী হওয়ার পরই এ নিয়ে ‘শোকজ নোটিস’ ও জরিমানার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কমিশন সভা শেষে মঙ্গলবার ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটিতে ভোট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে। সিটি নির্বাচন আইনবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণার সুযোগ নেই। এ সময় নির্বাচন সংক্রান্ত দেওয়া লিখন, পোস্টার, বিলবোর্ড, ব্যানার, তোরণ ও গেট নির্মাণসহ প্রচারণামূলক কাজ নিষিদ্ধ। প্রতীক পেয়েই তারা নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন। দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, বিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও সর্বোচ্চ ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।