চার নেতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে না পারা একটি ভুল ছিল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সে সময় আমরা একটি ভুল করেছি। সেই সামরিক চক্রের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াইনি। যারা সে সময়ে চক্রান্ত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ছিল আমাদের আরেকটি ভুল। তিনি গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেন, জেলহত্যার মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে খুব কম হয়েছে। এমনই দুর্ভাগা দেশ, যেখানে জেলখানার মতো জায়গায় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে জাতীয় নেতাদের হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, এমন কোনো ঘটনার প্রতিবাদ তাত্ক্ষণিক করতে হবে। বর্তমান সংবিধানে বলা আছে, কেউ যদি এমন ধরনের কাজ করে, তবে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এমন দুঃসাহসীরা যাতে কোনো দিন এমন সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে এবং দেশটাকে পেছনে টানতে না পারে, সে জন্য এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়েছিল। যার কারণে ঘরহারা মানুষের দুঃখ বোঝেন প্রধানমন্ত্রী। এ কারণে মিয়ানমারের ১০ লাখের বেশি মানুষ এ দেশে আশ্রয় পেয়েছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব সমালোচনা করেছেন, তা ছোট মনের পরিচয়।

 দেশের ওপর পাকিস্তানের চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, গতকাল পাকিস্তানের হাইকমিশন জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করা একটি ভিডিও প্রচার করল। বিএনপি এভাবে বার বার নিজেদের পাকিস্তানের বন্ধু হিসেবে প্রমাণ দিয়েছে। গতকালের ঘটনা তারই প্রমাণ। এসব ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, দৈনিক যুগান্তর-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ।