সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভবন নির্মাণে সতর্কতা অবলম্বন করুন

অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমিকম্পে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বহুতল আবাসন নির্মাণে ‘বিল্ডিং কোড’ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, বহুতল ভবন নির্মাণে সতর্কতা অবলম্বন করুন। গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিষয়ভিত্তিক ত্রৈমাসিক পত্রিকা হালখাতা কর্তৃক প্রকাশিত ‘ভূমিকম্পের সময় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক বুকলেটের প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

এ সময় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভূমিকম্প গবেষক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এ সময় আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. মঈনুদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড ও ব্র্যান্ডিং মো. আসাদুজ্জামান, ‘হালখাতা’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওকত হোসেন এবং সম্পাদক শরমিন নিশাত উপস্থিত ছিলেন।

বুলেটটি প্রকাশনায় অর্থায়ন করেছে আইএফআইসি ব্যাংক।

বুকলেটটির মোড়ক উন্মোচন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে সিলেটসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দেশের বেশকিছু অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ। এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন না করায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। যা কোনোভাবেই পূরণীয় নয়। তাই আমাদের ভবন নির্মাণে সতর্কতামূলক যে যে ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো অনুসরণ করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু ভূমিকম্প নয়, আগুন, বন্যাসহ নানা  প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতি বছর জানমালের বিপুল ক্ষতি সাধন হয়। এক রানা প্লাজার দুঃখজনক ঘটনায় বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনহানি হয়েছে। রানা প্লাজার উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা বুঝতে পেরেছি এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা কতটা দুর্বল। বর্তমানে রাজধানীর যে কোনো জায়গায় যদি আগুন লাগে তা নেভানোর মতো সক্ষমতা আমাদের নেই। গলির ভিতর পানি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে।

অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বাংলাদেশে বিগত শত বছরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্পের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় বিগত সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে আগামীতে সে রকম ভূমিকম্প হলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হবে। শুধু বলা যায়  ১৮৯৭ সালে সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যে ক্ষতি হয়েছিল। বর্তমান সময়ে একই মাত্রায় ভূমিকম্প হলে তার চেয়ে অবস্থা অনেক ভয়াবহ হবে। হতাহতের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমান সময়ে বহুতল ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়ে গেছে। এইসব ভবন কতটা নিরাপদ এবং বিল্ডিং কোড মেনে তৈরি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পুকুর-ডোবা ভরাট করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এসব ভবন নির্মাণে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

সর্বশেষ খবর