মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
মহা-হিসাবরক্ষক অফিসের দুর্নীতি

অবহিত করলেন দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক

অফিসে গিয়ে মহা-হিসাব নিরীক্ষক অফিসের দুর্নীতির কথা অবহিত করলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি এসব আর্থিক অনিয়ম অবহিত করতে গতকাল দুপুর ১টায় মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে যান। এ সময় তিনি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।

তিনি সিএজিকে অবহিত করে বলেন, কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইন ১০৬-এ বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন স্থান থেকে হিসাব-নিরীক্ষা অফিসসমূহের বিভিন্ন বিল যেমন— পেনশন, ভ্রমণ, বেতন, প্রভিডেন্ট ও ঠিকাদারের বিভিন্ন বিল প্রদানে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনার জন্য এসেছি। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন গত বছরে ফাঁদ পেতে বেশ কিছু কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত রাখা হবে।

দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের আরও বলেন, কমিশন সরকারি কর্মকর্তাদের ফাঁদ পেতে ধরে তাদের সমাজ-সংসারে  বিব্রত করতে চায় না। তাই সম্মিলিতভাবেই দুর্নীতি প্রতিরোধে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে হিসাব ও নিরীক্ষা অফিস থেকে মানুষ দুর্নীতিমুক্ত সেবা পায়। এ সময় কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) বলেন, গত বছর বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির কারণে এজি অফিসসমূহের ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে। দুর্নীতিমুক্তভাবে হিসাব-নিরীক্ষকরা অফিসের সেবা প্রদানে দুদক ও সিএজি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ও সিএজি মাসুদ আহমেদ দুর্নীতিমুক্ত সেবা প্রদানে একমত পোষণ করেন। দুদক চেয়ারম্যান সিএজিকে আরও বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির যেসব রিপোর্টে অর্থ আত্মসাতের বিষয় থাকে তা দুদককে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তা ছাড়া টাইম ফ্রেমের মধ্যে অডিট এবং রিপোর্ট প্রদানের অনুরোধ জানান দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় সিএজি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সিএজি অফিস দুদককে সার্বিক সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেন, অডিটের পেছনে এক টাকা ব্যয় করলে  রাষ্ট্রের কোষাগারে ৬৮ টাকা জমা হয়। এসব কারণে অডিট কার্যক্রম শিগগিরই আরও জোরদার করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর