বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সু চির সমালোচনায় তিন নোবেলজয়ী নারী

প্রতিদিন ডেস্ক

নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার এসে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তিন নারী মিয়ানমার সরকার ও অং সান সু চির সমালোচনা করেছেন। গতকাল উত্তর আয়ারল্যান্ডের মেরেইড ম্যাগুয়ার, ইরানের শিরিন এবাদি ও ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু নো-ম্যান্স-ল্যান্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা নির্যাতনের বর্ণনা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। খবর বিডিনিউজের।

রবিবার থেকে তারা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো নির্যাতনের বিবরণ শোনেন। নো-ম্যান্স-ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, সকালে নোবেলজয়ী তিন নারী ক্যাম্পে এসে পৌঁছেন। এরপর তারা মিয়ানমারের রাখাইনে ধর্ষণের শিকার চারজন নারীর মুখে নির্যাতনের কথা শোনেন। এ সময় তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরবেন বলে রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করেন, বলেন দিল মোহাম্মদ।

ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এই তিন নারী মিয়ানমারের গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করেন। এ সংকট সমাধানে তারা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ এবং মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ইরান, সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাতের নীরব থাকার অভিযোগ তুলে সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান ইরানের শিরিন এবাদি।

রোহিঙ্গাদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে এর জন্য অং সান সু চির পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করেন ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একজন নারী এবং পাশাপাশি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর বলে এর দায়ভার তিনি এড়াতে পারেন না বলেও তাওয়াক্কুল মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

রোহিঙ্গা নারীদের যেভাবে ধর্ষণ, উত্পীড়ন ও নির্যাতন করা হয়েছে এজন্য অং সান সু চি ও তার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের মেরেইড ম্যাগুয়ার।

রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে সসম্মানে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি। রবিবার এই তিন নারী কক্সবাজার আসেন। সেদিনই তারা ক্যাম্প পরিদর্শন শুরু করেন। রবিবার ও সোমবার তারা উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালীর তাজনিরমার খোলা ক্যাম্প পরিদর্শন করে ক্যাম্পের সার্বিক অবস্থান এবং রোহিঙ্গাদের জীবনযাপনের খোঁজখবর নেন। সেসব ক্যাম্পেও তারা ধর্ষিতা রোহিঙ্গা নারী, নির্যাতনের শিকার পুরুষ ও শিশুর সঙ্গে কথা বলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর