বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে গরু পাচার আটকে দিন : মমতা

কলকাতা প্রতিনিধি

বাংলাদেশে গরু পাচার আটকাতে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর অভিযোগ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে গরু এনে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করার রাজনীতি চলছে। মঙ্গলবার উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলার বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে গরুসহ যে কোনো পাচার রোধে এই কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অন্তরা আচার্যের একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশ লাগোয়া বসিরহাট ও ঘোজাডাঙা দিয়ে গরু পাচার বেশি চলে। উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে গরুগুলো আসে। এটাই সমস্যা, দোষটা আমাদের নয়। উত্তরপ্রদেশ বা রাজস্থানে এই গরু আটকায় না কিন্তু এখানে এসে রাজনীতি করে। অতএব এটাকে আটকাতে হবে।’

উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গোস্বামীকে উদ্দেশ করে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন ‘সীমান্তটা ঠিক রাখতে হবে। আমি চাই না পাচারের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকুক।

রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে বিষয়টি দেখার জন্য দিল্লির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

স্বরূপনগরের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও)-কে উদ্দেশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার সীমান্ত বাংলাদেশ, সীমান্তগুলো একটু নজর রাখবেন। পেছন থেকে এখানে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে হঠাৎ করে একটা দাঙ্গা করে চলে গেল... বসিরহাটেও তাই করেছিল। একটু নজর রাখবেন।’ 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া হওয়ার কারণে উত্তরচব্বিশ পরগনা জেলার একাধিক জায়গা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে গবাদি পশুসহ বিভিন্ন জিনিস পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু পাচারকারীদের সঙ্গে প্রশাসন ও দলের একাংশের যোগসাজশের কারণে সীমান্ত দিয়ে পাচার সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রে বিজেপি শাসিত এনডিএ সরকারে ক্ষমতায় আসার পরও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কয়েকবার সীমান্ত পরিদর্শন করে এই জেলার সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার ঠেকাতে বিএসএফ-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এদিনের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত যশোর রোড চওড়ার কাজ থমকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যশোর রোডের দুই পাশে গাছ নষ্ট না করেই উড়ালপুলের কাজ করতে হবে। উড়ালপুল না হলে ভারত-বাংলাদেশের যানজটের সমস্যা দূর হবে না।’

উল্লেখ্য, বারাসাত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক-৩৫ (যশোর রোড) সম্প্রসারণ ও এর ওপর উড়ালপুল তৈরির জন্য গত বছরের এপ্রিল নাগাদ এই রাস্তার দুই পাশে ছাতার মতো ছড়িয়ে থাকা শত বছরের পুরনো গাছগুলোর অনেকই নির্বিচারে কাটা পড়ে। এরপরই ওই গাছ কাটার প্রতিবাদ করে তার স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। মামলাটি এখন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিচারাধীন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর