বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ এমপিদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রতিদিন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্যদের (এমপি) নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। গত মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সে দি টেরেস প্যাভিলিয়নে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ডও অংশ নেন। খবর : বিডিনিউজ।

এ ছাড়াও এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের সরকারি দল কনজারভেটিভ পার্টি, বিরোধী দল লেবার পার্টি, লিবারেল  ডেমোক্র্যাটস ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির অর্ধশতাধিক ব্রিটিশ এমপি যোগ দেন। তাদের মধ্যে ৬৩ জন অনুষ্ঠানের উপস্থিতি বইয়ে স্বাক্ষরও করেন। এ সময় স্বাগত বক্তব্যে লেবার পার্টির এমপি জিম ফিজপেট্রিক বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যে সংখ্যক এমপি এসেছেন, অন্য কোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমনটি আর কখনো ঘটেনি। স্বাধীনতার সূচনা থেকে বাংলাদেশ ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল কাওনাইন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো একটি জনবহুল এলাকার মানুষ নিজেদের কষ্ট অগ্রাহ্য করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র।’ বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ‘দূরদর্শী নেতৃত্ব বিশ্বসভায় সমাদৃত’ বলে মন্তব্য করেন কনজারভেটিভ পার্টির এই এমপি।

সরকারদলীয় আরেক এমপি অ্যান মেইন বলেন, ‘মাত্র ৪৭ বছরে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন করেছে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। শেখ হাসিনার ভূমিকার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। সারা বিশ্বকে বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে তাদের সক্ষমতা।’ এ ছাড়া এডিনবরার বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রশংসার পাশাপাশি ব্রিটেনে বাংলাদেশিদের অভিবাসন জটিলতার কথা তুলে ধরেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি জোয়ানা চেরি। স্টিভেন স্টিংস এমপিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তার প্রশংসা করে লিস ম্যাকানিজ এমপি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তা আবার প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মানুষ।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে দুটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেখানো হয়। দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নাচ পরিবেশন করা হয়। এ সময় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ এমপিদের হাতে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচার ইংরেজি সংস্করণসহ বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পরিসংখ্যান সম্বলিত তথ্য তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেট ডেভি আব্রাহাম, পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি মাইক্যাল এলিজ, শ্যাডো মিনিস্টার চি অনুরাহ, শ্যাডো লিডার অব দ্য হাউস অব কমন্স ভ্যালেরি ভাজ, শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেট জনথন আশওয়ার্থ, শ্যাডো মিনিস্টার জুলিয়ে কুপার, শ্যাডো মিনিস্টার ফ্যাবিয়ান হ্যামিল্টন ও শ্যাডো চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার জন ম্যাকডনাল প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর