রাজশাহীর চারঘাট থেকে গত মঙ্গলবার গভীররাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মুদি দোকানের এক কর্মচারীকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল মুদি দোকানির ভাই চারঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তুলে নিয়ে যাওয়া মুদি দোকানের কর্মচারীর নাম আসাদুজ্জামান (২২)। তার বাবার নাম ইয়াসিন আলী। বাড়ি চারঘাট উপজেলার আস্করপুর সরকারপাড়া গ্রামে। আসাদুজ্জামান সরদহ বাজারে নজরুল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। দোকানের মালিক নজরুল ইসলাম জানান, তিনি জানতে পারেন র্যাব পরিচয়ে আসাদুজ্জামানকে তিন-চারজন লোক এসে তুলে নিয়ে গেছে। তারা মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিলেন।
আসাদকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। ওই যুবক তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন। তখন তারা পরিচয় দিয়েছেন যে, তারা র্যাব। তখন যুবক আসাদকে ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে র্যাব-৫-এর উপ-অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তারা জানেন না। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই (চারঘাট) এলাকায় তাদের কোনো অভিযানই চালানো হয়নি। চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে আসাদুজ্জামানের ভাই মইনুল ইসলাম থানায় একটি খসড়া অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে র্যাব পরিচয়ে তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিকে গত ২৪ মার্চ বেলা পৌনে ১১টার দিকে চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর এলাকা থেকে ডাকরা ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শফিকুর রহমান ওরফে উজ্জ্বল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বজরুল ইসলামকেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। ওইদিন দুপুরেই বজরুলকে পাবনার দাশুড়িয়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি নিরাপদে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তিনিও বলতে পারেননি যে কারা তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন।। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত শিক্ষক শফিকুর রহমানের কোনো খোঁজ তারা জানতে পারেননি।