পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় তিন পুলিশকে গুলি করা অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবুকে খুঁজছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুণ্টিঘর শেলেটক্ অ্যাপার্টমেন্টরে পেছনে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান বাবু। তবে ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী সোনিয়া ও জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ও পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে পুলিশ। বাদী হয়েছেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন। মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে আহত তিন পুলিশ সদস্য এএসআই মোশারফ হোসেন, এএসআই মহসিন ও কনস্টেবল বশির আহমেদকে বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে আহত ইয়াবা ব্যবসায়ী জুয়েলকেও ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গেন্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, দায়ের করা দুটি মামলায় সোনিয়া, জুয়েল, বাবু, সোনিয়ার স্বামী জনিসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বাবু ছিলেন জনির বন্ধু। ঘটনার দিন বাবু আরেকটি কক্ষ থেকে বের হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ওই সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে জুয়েল গুলিবিদ্ধ হন।
তিনি বলেন, সোনিয়ার স্বামী জনি ইয়াবা ব্যবসা করেন। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে তারা ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আনতে সহায়তা করেন বাবু। তবে বাবুর হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান পুলিশ এখনো করতে পারেনি। পুলিশের ধারণা, বাবু গেন্ডারিয়ার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। ওই এলাকায় তারা ইয়াবা ব্যবসা করতেন।