রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর ১০ নম্বর মানিক মিয়া কোয়ার্টারের পুকুরে বুধবার গোসল করতে যান আফসার উদ্দিন শিহাব নামে এক কিশোর। সেখানের একটি গাছ থেকে কয়েকটি আম পাড়ে ইমরান নামে আরেক কিশোর। এ সময় পাশের সিটি কলোনির জুয়েল, হৃদয়সহ কয়েকজন ইমরানের কাছে আম চায়। তাদের আম না দেওয়ায় কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা ইমরানকে চড়-থাপ্পড়ও মারে। পরে সেখান থেকে চলে এলেও ওইদিনই সেখানে তাদের মিল করিয়ে দেওয়া হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে শিহাবসহ তার বন্ধুরা কোয়ার্টারের কোল্ট স্টোরেজ গলিতে ক্রিকেট খেলতে যায়। খেলা শেষে হৃদয়, জুয়েলসহ ২০/২৫জন তাদের ধাওয়া দেয়। কোয়ার্টার থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিহাবকে সুইচ গিয়ার (ধারালো ছুরি) দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় হৃদয়। এতে শিহাবের পেটের বাম পাশে গুরুতর জখম হয়। এরপর তাকে স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা সাজু মিয়া জানান, ধলপুর বাদল সরকার গলির ৬০/৮/এ নম্বর বাড়িতে তারা থাকেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানার মইষারচরে। তিনি সিএনজি চালক ও স্ত্রী হাসিনা বেগম গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিহাব দ্বিতীয়। স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত শিহাব। সম্প্রতি সে লেখাপড়া বাদ দিয়ে মাঝেমধ্যে বাবার সিএনজি চালাত।যাত্রবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রধান ঘাতক হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত ছুরি। হৃদয়ের আঘাতেই মারা যায় শিহাব। এ বিষয়ে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ছুরিকাঘাত মৃত্যু ইমদাদুলের : এদিকে, হাজারীবাগ থানার এসআই হারুন-অর-রশিদ জানান, ১০ এপ্রিল সকালে হাজারীবাগের নীলাম্বর সাহা রোডের ১০ নম্বর গলির মুখে ইমদাদুর রহমানকে (৫৫) ছুরিকাঘাত করে এক দুর্বৃত্ত। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চকবাজারের ব্যবসায়ী ইমদাদুরের ঘাতককে চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে।