ধর্ম সচিব আনিছুর রহমান বলেছেন, চলতি বছরের হজ যাত্রায় নিবন্ধিত হজযাত্রীদের রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা হলে কঠিন শাস্তি বরণ করতে হবে। পাশাপাশি বিমান টিকিট বিক্রি না হওয়া নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছি না।
তিনি গতকাল সচিবালয়ে হজযাত্রীদের বিমান টিকিট নিশ্চিতে পে-অর্ডার ইস্যু না করা ৮৮ হজ এজেন্সির সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য জানান। এ সময় ২৮ হজ এজেন্সির মালিক উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, আমাদের মাথায় রাখতে হবে, স্লট (সৌদি আরবে হজযাত্রী বহনকারী বিমান অবতরণ) কিন্তু এ বছর অতিরিক্ত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ১৭ আগস্ট সৌদি এয়ারলাইনসের শেষ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের শেষ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে ১৫ আগস্ট। এর বাইরে কেউ যেতে পারবে না। নিয়মকানুনে সৌদি সরকার এবার অত্যন্ত কঠোর।২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্টের মধ্যে যার যার টিকিট নিয়ে এজেন্সিগুলোকে বাড়িভাড়া করে ফেলতে হবে জানিয়ে আনিছুর রহমান বলেন, ‘মাশায়ের আল মোকাদ্দাসার ক্যাটারিং (খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ ব্যবস্থা) করে ফেলতে হবে। বাড়ি ভাড়া যদি সম্পূর্ণ না হয়, ক্যাটারিংয়ের বিষয়টি যদি সমাধান না হয়, তবে মোফা (সৌদি সরকার প্রদত্ত ভিসা নম্বর) পাবেন না। মোফা না পেলে ভিসার জন্য সাবমিট করতে পারবেন না। আমি এখনো আশাবাদী টিকিট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। সমস্যা হবে বাড়ি ভাড়া, মোফা, ক্যাটারিং— এই তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, এত টিকিট বিক্রি হবে না— এই মর্মে বিমান পত্র-পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল। তবে আমি কিন্তু শঙ্কিত নই। আমি এখন দেখছি যে, টিকিট বিক্রিতে আমরা কাছাকাছি চলে যাচ্ছি। এজেন্সির কার্যক্রমের কিছু কিছু বিষয় আমাদের সিস্টেমে আসেনি। এখানে এসে দেখলাম অনেক কাজ হয়ে গেছে। মদিনায় বেশির ভাগেরই বাড়ি ভাড়া দেওয়া আছে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এজেন্সিগুলো হজ নীতিমালা অনুযায়ী মোট হজযাত্রীর ৪ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট করে ফেলেছে। অতিরিক্ত রিপ্লেসমেন্ট কেন দাবি করছেন— সাংবাদিকরা তা জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, আমাদের ৫২৮টি হজ এজেন্সি রয়েছে। বেশিরভাগ হাজীদের বয়স ৭০ থেকে ৮০ বছর। এর মধ্যে টাকা জমা দেওয়ার পর পাঁচ থেকে সাত শতাংশ মারা যায়। এখন কী করব! আমি মারা গেলে আমার ফ্যামিলির কেউ যাবে। এ জন্য আমাদের এজেন্সিগুলো একটু বেকায়দায় আছে। এ জন্য আমি আশা করি, সচিব মহোদয় আমাদের রিপ্লেসমেন্ট দাবি পূরণ করবেন। হজ এজেন্সিগুলো মোট হজযাত্রীর ২০ শতাংশ রিপ্লেসমেন্ট চায় বলেও জানান সভাপতি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২১ আগস্ট (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজে যাবেন।