বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিচারপতি জয়নুলের জামিনের আবেদন খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে এ রায় দেয়। ফলে বিচারপতি জয়নুলের আগাম জামিন বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

 আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিচারপতি জয়নুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে ২৩ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের নিয়মিত জামিনের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপরে শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ৩১ জুলাই দিন ধার্য করে হাই কোর্ট।

 এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে। তবে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

রায়ের পর এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিত জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল আদালত খারিজ করে দিয়েছে। ফলে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দেওয়া আগাম জামিন আর থাকছে না। রায়ের আগে আদালত বলেছে, মামলা ছাড়া আগাম জামিনের কোনো নজির নেই। মামলা ছাড়া আগাম জামিন হলে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের দৃষ্টান্ত থাকলেও বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে নোটিস দেয় দুদক। নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১০ সালের ২৫ জুলাই তিনি হাই কোর্টে রিট করলে আদালত শুনানি নিয়ে বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়। পরে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর দুদক তাকে আবারও নোটিস দেয়। প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ৩ নভেম্বর তিনি ওই নোটিসের জবাব দেন। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে অর্থ পাচারের অভিযোগে বিচারপতি জয়নুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে এ বিষয়ে দুদক ব্যাখ্যা চাইলে তিনি ব্যাখ্যা দেন। একই বছরের জুনে একটি পত্রিকায় বিচারপতি জয়নুলের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ও দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে গ্রেফতার ও হয়রানির আশঙ্কা থেকে তিনি হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই হাই কোর্ট তাকে এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেয় এবং রুল জারি করে। গতকাল সেই রুল খারিজ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর