আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠাতে হাই কোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে শহিদুল আলমকে চিকিৎসা দিতে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও অমিত তালুকদার। অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও আইনুন নাহার অ্যানি। এর আগে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছিল আপিল বিভাগ। ওই দিন আদালত বিষয়টি শুনানি না করে মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের মধ্যে উসকানিমূলক মিথ্যা বক্তব্য প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা এক মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে নির্যাতন ও রিমান্ডে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ ৭ আগস্ট রিট করেন। ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হাই কোর্ট শহিদুল আলমকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অবিলম্বে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে পাঠাতে নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।