রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাদের নিবন্ধন দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট। গতকাল দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির দায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন একরামুল হক টুটুল।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিস পাঠান জোনায়েদ সাকি।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, নোটিসের জবাব না পেয়েই রিট দায়ের করা হয়েছে। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়েই আদালত রুল জারি করেছে। এ আদেশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জোনায়েদ সাকি বলেন, নিবন্ধন পেলেও ঘোষিত তফসিল স্থগিত না হলে বা পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করলে দল হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণসংহতি আন্দোলন অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, নিবন্ধন না পেলে বা তফসিল স্থগিত বা পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করলে জোটবদ্ধভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা করবে গণসংহতি অন্দোলন। যদিও আগে প্রশ্ন আসে আমরা নির্বাচনে যাব কি না।