মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
পেশাজীবী পরিষদের মতবিনিময়

ভোট দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, ভোট দিয়ে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। স্বাধীনতাকে যারা শ্রদ্ধা করে না, বঙ্গবন্ধুকে যারা শ্রদ্ধা করে না, তারা পথে পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, অনির্বাচিতরা এখন দেশ শাসন করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ড্যাব সভাপতি ডা. আজিজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবউল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও ভোট দিতে মানুষকে আন্দোলন করতে হয়, এটা অত্যন্ত লজ্জার। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে না তারাই মানুষকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেআইনি আদেশ হলে আপনাদের কর্তব্য-আপনারা বলবেন, এ আদেশ বেআইনি; আমি মানতে পারছি না।

ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা প্রজা নই। আমরা নাগরিক। স্বাধীন দেশের মানুষ কেউ প্রজা নয়। তারা সবাই নাগরিক। নাগরিকের দায়িত্ব আছে, কর্তব্যও আছে। আমাদের যেন কেউ আর প্রজা বলতে না পারে, তার জন্য ৩০ তারিখ ভোটের মাধ্যমে ওদের দেখিয়ে দিতে হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৬ জন প্রার্থী কারাগারে আছেন। ৬ জনকে তফসিল ঘোষণার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ জনকে অবৈধ করা হয়েছে। আর কয়েকজনকে অবৈধ করার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ৮ আসনে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী রইল না। সরকারকে এই ৮টি আসন উপহার দেওয়া হলো।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যারা চলছেন অন্ধকারের দিকে তারা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, মানুষ সেনাবাহিনীর কাছে নিরাপদে ভোট দিতে চায়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণ এ স্বৈরাচারের পতন দেখতে চায়। এবারে ভোটের লড়াইয়ে জিততে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হবেই। জনগণ বসে আছে, ভোটের দিন ফাইনাল খেলা হবে। এবার নৌকার ভরাডুবি হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর