রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় মান্ডা ও ডিএনডি খালে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে আসাদের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর গতকাল সকাল ৯টার দিকে মান্ডা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আসাদের নিথর দেহ উদ্ধারের পর বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজনরা। এদিকে শনিবার বিকালে কদমতলীর মিরাজনগরে ডিএনডি খালে ডুবে যাওয়া শিশু তোহামণি (৫) এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানান, রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুই শিশু খালের পাশে খেলা করার সময় আসাদ ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাকে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। কিন্তু খালের ময়লা-আবর্জনার কারণে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল পুনরায় দুটি ইউনিটের তিনজন ডুবুরি অভিযান শুরু করলে সকাল ৯টায় আসাদের লাশ পাওয়া যায়। জানা গেছে, আসাদ ময়মনসিংহের ধুবাউড়ার আখমত আলীর ছেলে। মান্ডা খালের পাড়েই তাদের বাসা। তার বাবা পেশায় রিকশাচালক। মা মমতা বেগম গৃহকর্মী। এদিকে শনিবার বিকালে মিরাজনগরে ডিএনডি খালে নিখোঁজ হওয়া শিশু তোহামণি গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানান, শিশুটিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের তিন ডুবুরি কাজ করে যাচ্ছেন। ফারুক হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, মেয়েশিশুটি বল আনতে গেলে খালে পড়ে যায়।
খালটি কাদা ও ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এ কারণে শিশুটি তলিয়ে যাওয়ার পর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তোহামণির বাবার নাম এরশাদ। বাসা মিরাজনগরের পাশে মোহাম্মদনগর কালভার্ট এলাকায়। ঘটনাস্থলের পাশেই শিশুটির বাবার একটি কনফেকশনারি দোকান রয়েছে। এ বছরই মিরাজনগর ফারহা মডেল স্কুলের শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল তোহামণি। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।