শিরোনাম
শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনা

ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার ধনখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডলকে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করায় মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে?ছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মোংলা শাখা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল মন্ডল বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়ায় মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদারের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করি। এতে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জনসম্মুখে আমাকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে তিনি আমাকে মারতে আসেন এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন।

 ‘বাসার বাইরে বের হলে খারাপ হবে’ বলেও হুমকি দেয়। এর আগে আমার ভাইপো সুখদেব মন্ডলকে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে এই নির্যাতনকারী চেয়ারম্যান। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ ইস্রাফিল হাওলাদার ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত দাবি করে তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, তার রয়েছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী। চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়।’ তিনি দাবি করেন মোংলা থানার মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার বিএনপি আমলে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কতিপয় নেতাদের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেন। পরে যুবলীগ নেতা হন। একপর্যায়ে লবিং করে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মিঠাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন। এরপর থেকেই শুরু হয় তার দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি। মানববন্ধনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাপস পাল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ মজুমদারসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।

সর্বশেষ খবর