শিরোনাম
শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কাঁটাবনে পশু ও পাখির দোকানে আটক আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর কাঁটাবনে চলতি লকডাউনে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে পশু-পাখির দোকান খুলতে পারছেন না দোকান মালিকরা। এ কারণে খাদ্য, পানি ও বাতাসের অভাবে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে প্রতিদিনই পশু-পাখি ও মাছ মারা যাচ্ছে। লকডাউনে স্টাফ, কর্মচারী না থাকায় ব্যবসায়ীরা পশু-পাখির পরিচর্যার জন্য দোকান খুললেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা এসে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দোকান-সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আটক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জানা গেছে, লকডাউনের মাঝে পোষা প্রাণী ও অ্যাকুরিয়ামের মাছের জরুরি খাদ্য, ওষুধ, আলো-বাতাস সরবরাহ এবং পরিচর্যার জন্য দৈনিক দুই ঘণ্টা করে দুই দফায় কাঁটাবনের পশু-পাখি মার্কেটের দোকানসমূহ খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করীম। ১২ এপ্রিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর কাঁটাবনস্থ অ্যাকুয়া অ্যান্ড পেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে লকডাউনের মাঝে অবলা পশু ও মাছের জরুরি খাবার সরবরাহ ও পরিচর্যার উদ্দেশ্যে দোকান খোলার জন্য একটি মানবিক আবেদন জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী কাঁটাবনের পশু-পাখির ৬০টি দোকান প্রতিদিন কমপক্ষে দুই ঘণ্টা করে দুই দফা খোলা রাখার অনুমতি দেন। কাঁটাবনস্থ অ্যাকুয়া অ্যান্ড পেট অ্যাসোসিয়েশন ও কাঁটাবন দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, পশু-পাখি-মাছ কি আটকে রাখা যায়।

এক ঘণ্টা পর পর তাদের পরিচর্যা করতে হয়। দোকানের শাটার বন্ধ করলেই তাদের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ পর্যন্ত বেশ কিছু পশু-পাখি-মাছ মারা গেছে। লকডাউনে স্টাফ, কর্মচারী না থাকায় পশু-পাখির পরিচর্যার জন্য ব্যবসায়ীরা দোকান খুললেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা এসে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৬/১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। অবশ্য পরে তাদের দীর্ঘক্ষণ আটক রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে পশু-পাখি ও মাছের জীবন বাঁচাতে দোকান খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, জীবন্ত পশু-পাখি বা মাছের দোকান প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলার নির্দেশনা দেওয়া আছে। এর মধ্যে কেউ দোকান খুলতে বাধা দিলে বা কাউকে হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর বাইরেও যদি কাঁটাবন দোকান মালিকদের আরও কোনো সুবিধার প্রয়োজন হয় তবে আলোচনা করতে পারেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর