১৬ বছর আগে ল্যাবএইডের চিকিৎসক ডা. নাজনীন আক্তারসহ তার গৃহকর্মীকে হত্যায় আসামি আমিনুল ইসলামের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। আসামির জেল আপিল খারিজ করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এ বি এম বায়েজীদ।
আইন অনুযায়ী এ রায় প্রকাশের পর আসামির মৃত্যু পরোয়ানা জারি হবে। কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদন্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেবে। তবে আসামি রিভিউ আবেদন করলে ফাঁসি কার্যকর স্থগিত থাকবে। রিভিউ আবেদন খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনগত বাধা থাকবে না। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার একটি সুযোগ থাকবে আসামির।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন নাজনীন আক্তার। তার স্বামী আসারুজ্জামানের ভাগ্নে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। ২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগ্নে আমিনুল। বাসার গৃহকর্মী পারুল খুন করা দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন আমিনুল। এ ঘটনায় মামলা করার কয়েক দিন পর পুলিশ আসামি আমিনুলকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় ২০০৮ সালে আমিনুলকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষে ২০১৩ সালে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রাখে হাই কোর্ট। পরে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করেন আসামি আমিনুল। ওই আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রায় দেয় আপিল বিভাগ।