বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, দেশ করোনামুক্ত হোক সরকার তা চায় না। চাইলে সরকার আরও উদ্যোগ গ্রহণ করত। তারা ধরেই নিয়েছে, দেশে ১৮ কোটি লোকের মধ্যে ৪-৫ লাখ লোক মারা গেলে কিছুই হবে না। তিনি গতকাল সকালে গাজীপুরে দলের করোনা হেল্প সেন্টার ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে এ মন্তব্য করেন। টুকু বিএনপির করোনা পর্যবেক্ষণ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক।
গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জয়দেবপুরে জেলা কার্যালয়ে ‘করোনা হেল্প সেন্টার’ উদ্বোধন উপলক্ষে সকালে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগরের ১৬টি ইউনিটে অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ ওষুধপত্র বিতরণ করা হয়। এই হেল্প সেন্টার থেকে করোনা রোগীর জন্য সার্বক্ষণিক টেলিমেডিসিন সেবা চালু রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
জেলার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মহানগর আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার, জেলার সদস্য সচিব কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, মহানগর সদস্য সচিব সোহরাব উদ্দিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত হোসেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান ও নির্বাহী কমিটির ডা. মাজহারুল আলমসহ জেলা ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলে একজন আলোচিত কর্মকর্তা আছেন, তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে বলেছেন, এসব লকডাউন-টকডাউন উঠিয়ে দাও। মরতে হলে মরবে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের বাঁচতে হবে। তিনি জাতীয় কমিটির একজন পাওয়ারফুল সদস্য। তিনি যখন এ কথা বলেন, তার অর্থ কী দাঁড়াচ্ছে? যে পারবে না সে মরবে, যে পারবে সে বেঁচে থাকবে-এই নীতিতে সরকার চলছে।