শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

যশোরে টিকা না নেওয়া ৩৫ শতাংশের শরীরে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের তিন উপজেলার ছয় অঞ্চলের ৪ শতাধিক মানুষের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় ৩৫ শতাংশের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করোনার অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। অর্থাৎ এ ৩৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বা এ ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার এ গবেষণাটি পরিচালনা করে। মানুষের শরীর থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতিতে এ গবেষণা চালানো হয়। ইতিমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের নমুনা এ গবেষণায় নেওয়া হয়নি। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বাড়িতে আরটিপিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করোনা পজিটিভ ছিল, সেসব পরিবারের সদস্যদের ৩৮ ভাগেরই শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর যেসব বাড়িতে কারও কখনো করোনা শনাক্ত হয়নি, সেসব বাড়ির ২৪ শতাংশ মানুষের দেহে পাওয়া গেছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি।

 

 গ্রামের তুলনায় শহরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির শতকরা হার কম। গবেষক দলটি জানিয়েছে, এত বেশি মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি থাকাটা প্রমাণ করে যে আমাদের চারপাশে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির জন্য ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা আবশ্যক। আবার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কত দিন তা কোনো গবেষণায় প্রমাণিত না হওয়ায় করোনা থেকে বাঁচতে টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলেই মনে করছে গবেষক দলটি। গবেষণার এ ফলাফলের বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য ও জেনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘টিকা না নিলে আরও দীর্ঘদিন আমাদের এ মহামারীতে ভুগতে হবে।’

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে পরিচালিত এ গবেষক দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পিপাসা সুলতানা, সুরাইয়া ইয়াসমিন, লক্ষ্মী সরকার এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশাদ মাহমুদ চয়ন।

সর্বশেষ খবর