স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ মাদক সমস্যার কবলে পড়েছে। প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধ মাদক প্রবেশ করে। ইয়াবা আসে মিয়ানমার থেকে আর গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ ভারত থেকে অনুপ্রবেশ করে। জাতীয় সংসদের পঞ্চদশতম অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের ?নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২৩ হাজার ৮০০টি মামলা করে ৩১ হাজার ৫৪৫ মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
এসব মামলায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩৮ পিস ইয়াবা, ১১৬ দশমিক ১৮৭ কেজি হেরোইন, ২০ হাজার ৭৪২ কেজি গাঁজা, ৮১ হাজার ৪৮৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৯ হাজার ২৪৮ অ্যাম্পুল ইনজেক্টিং ড্রাগ এবং ৫৭ হাজার ৯৭১ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে।