ভুয়া এমবিবিএস পাসের সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গতকাল যে ৭ ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে তার হলেন- কুমিল্লার ইমান আলী ও মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, চাঁদপুরের মো. মোক্তার হোসাইন, গাজীপুরের মো. কাউসার ও নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী। গ্রেফতার না হওয়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ভোলার মো. মাহমুদুল হাসান, ঢাকার মো. আসাদ উল্লাহ, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর মো. সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের মো. আসলাম হোসেন। তাদের সহযোগিতার অভিযোগে অন্য যে দুজনকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান। এ ব্যাপারে দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা চীনের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন। এর আগে ১২ জন ভুয়া চিকিৎসকসহ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। এসব সনদ যাচাই-বাছাই করতে চীনে পাঠায় দুদক।
দুদক সচিব বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মাহমুদুল হক নামে একজন ভুয়া চিকিৎসক হাই কোর্টে আগাম জামিন চাইতে গেলে তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। তিনি বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায় আসামিদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। সবমিলিয়ে তাদের সংখ্যা ১২। এমবিবিএস সনদধারী ওই ব্যক্তিরা কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেননি। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, এমবিবিএস সনদের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সনদপত্রগুলোর অনুলিপি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হয়। চীনের ওই ইউনিভার্সিটি জানায় তাদের কাছে এই ছাত্রদের কোনো রেকর্ড নেই।