লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের কেতকীবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ফেসবুক লাইভে এসে মারধর করেছে ওই এলাকার কয়েক যুবক। মুহূর্তেই মারধরের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন নির্যাতনের শিকার দশম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান লিখনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে গতকাল লিখনের বাবা হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ওই বিদ্যালয়ের পেছনে একটি মাদরাসায় নিয়ে তাকে মারধর করে সিফাত ও জয় নামে দুই যুবক। সেই মারধরের দৃশ্য ফেসবুকে লাইভ করতে থাকেন মাহবুবুর নামে অপর এক যুবক। হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেহেদী হাসান লিখন বলেন, কয়েক দিন আগে ওই বিদ্যালয়ে হামলা করে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন সিফাত ও জয়সহ কয়েকজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু। ওই বৈঠকে আমিসহ কয়েকজন বন্ধু হামলাকারীদের নাম বলি। পরে আমাকে ঘটনার দিন পাশের মাদরাসায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সিফাত ও জয় আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং সিফাতের ফেসবুক আইডি থেকে মাহবুবুর নামে এক যুবক সেই দৃশ্য লাইভ করে। পরে স্থানীয় লোকজন লাইভটি দেখে ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে।আমাকে সিফাতের বাবা হোসায়নুর রহমান হিরু ও জয়ের বাবা দুলুর পরিকল্পনায় মারধর করা হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম জানান, ভিডিওটি দেখেছি। থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।