‘জমি দখলের মতলবে পুলিশ কনস্টেবল হাফিজুর রহমান মানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তার নিপীড়নে আমাদের জীবন বিপন্ন। আমাদের বাঁচান।’ গতকাল বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানালেন মানিকের স্বজনরাই।
মানিকের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে। তিনি পুলিশ সদর দফতরে কর্মরত। সংবাদ সম্মেলনে তার চাচাতো ভাই রফিকুজ্জামান রুহেল অভিযোগ সবিস্তারে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কনস্টেবল হাফিজুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের উদ্দেশ্যে মানিক তার চাচা-চাচি, চাচাতো ভাইসহ পরিবারের ২০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মানিকের চাচা হাফিজ উদ্দিন, চাচি আমিনা খাতুন, মিনারা খাতুন, খোরশেদা খাতুন, চাচা আবদুর রশিদ প্রমুখ। পুলিশ সদস্য মানিকের দাদা আবদুল আজিজের মৃত্যুর পর এক একর ৮০ শতক জমি উত্তরাধিকারসূত্রে তার পাঁচ সন্তান মালিক হন। কিন্তু মানিক ও মানিকের বাবা মনিরুজ্জামান বাকি উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছেন। স্বজনদের আর্থিক ও মানসিকভাবে দুর্বল এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে অন্তত ২০ আত্মীয়-স্বজনের নামে এ পর্যন্ত ১১টি মিথ্যা মামলা করেছেন। ওইসব মামলায় ১৭ জন সদস্য বিভিন্ন মেয়াদে হাজতবাস করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, মানিক ও তার পরিবারের সদস্য দ্বারা একাধিকবার মারধর, নির্যাতন ও হামলার শিকার পরিবারগুলো পুলিশি প্রভাবের কারণে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হন।
পরবর্তীতে আদালতের সম্মুখীন হলেও থানা থেকে কোনো সুবিচার পাননি। অন্যদিকে, মামলাধীন জমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সদর থানাপুলিশের একটি দল উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে মানিকের পক্ষ নিয়ে জোরপূর্বক হালচাষ করায়।
