বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ও তা বাস্তবায়নের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৭২ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে এ আলটিমেটাম দেন প্রাথমিক শিক্ষক নেতারা। সংগঠনের সভাপতি বদরুল আমিন সরকার (ফরহাদ) ও মহাসচিব ফরিদুল ইসলাম এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক নিলা রানী দাস, প্রচার সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, শফি আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি শামসুল হক।
বদরুল আমিন সরকার ফরহাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৭ মে ২০১২ সালে আগে স্থাপন ও চালুর জন্য আবেদিত সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় প্রথমে ৩২ হাজার, পরে বাদ পড়া আরও ৪ হাজার ৩২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন।
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতার মতো আরও একটি ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, জাতীয়করণকালীন যে পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় আরও জাতীয়করণযোগ্য উপজেলা, জেলা থেকে যাচাই-বাছাইকৃত ২০১২ সালের ২৭ মে আগের আবেদিত সব বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। আমরা বিশ্বাস করি ওইসব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবিলম্বে জাতীয়করণ করা হবে।
