সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই

ভিসানীতিতে কাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানি না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ভিসানীতি প্রয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাদের নিষিদ্ধ করেছে সে বিষয়ে কিছু জানা নেই। জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং সংস্থার বিদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব উনাইসি লুতু ভুনিওয়াকার সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি। মার্কিন ভিসানীতির একটা বড় তালিকা বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে। এটা কি রিউমার (গুজব) ছড়ানো হচ্ছে, নাকি সত্য, সরকারের কাছে এ ধরনের কোনো তালিকা আছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতি তারা ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করেছে বলে আমরা শুনেছি। আমাদের কাছে তো চিঠির মাধ্যমে তারা জানায়নি। কাজেই আমরা যেটা শুনেছি সেটাই জানি। এখন পর্যন্ত কাকে কাকে নিষিদ্ধ করেছে আমরা জানি না। মন্ত্রী বলেন, তারা যে লিস্টটা (তালিকা) দিয়েছে, এটার ভিত্তি কী, সেটিও আমি জানি না। যেহেতু কিছুই জানি না... আমি মনে করি আমার এ সম্বন্ধে মন্তব্য করার কোনো এখতিয়ার নেই। আসাদুজ্জামান খান বলেন, ভিসানীতি প্রণয়ন করেছে এটা তাদের ব্যাপার।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশে কাকে যেতে দেবে, কাকে যেতে দেবে না, এটা তাদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের মন্তব্য নেই এবং বলার কিছু নেই।

জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এখানে জাতিসংঘসহ বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রের যারা থাকবেন তাদের যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তায় সমস্যা না হয়, আমরা সেটি নিশ্চিত করব। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অবশ্যই তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। পাশাপাশি আমরা এটিও বলেছি, আমাদের বাঙালি সমাজে পরস্পরের মধ্যে ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কারও সঙ্গে কখনো ঝগড়া করি না। একে অপরের পাশে দাঁড়াই।

নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো ধরনের আশঙ্কা বা এমন কোনো কিছু তারা প্রকাশ করেননি। তারা বলেছেন, জাতিসংঘের যেসব অফিসার বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন, নির্বাচনের সময় তাদের নিরাপত্তায় কোনো অসুবিধা হবে কি না। তারা সেটা জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি- না, বিদেশিদের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের (জাতিসংঘের) সহযোগিতা চেয়েছি, যাতে করে এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী শিগগিরই চলে যায়, সেই ব্যবস্থা যেন তারা নেয়।  বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রী তার কথা চিন্তা করে দন্ড স্থগিত করে বাসায় থেকে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো ডাক্তার ও উন্নত একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোর্ট থেকে যে একটি সীমা দিয়েছিল, সেটা তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু কোর্টের এখতিয়ারাধীন বিষয় তাই কোর্টের অনুমোদন ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখানে কিছু করার নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আইনগত জটিলতা রয়েছে। বিদেশ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হয়তো আদালতের একটা অনুমোদনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সেটা আইনমন্ত্রী ভালো জানেন। সে ক্ষেত্রে আইনের বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয় কোনো কিছু করতে পারে না।

সর্বশেষ খবর