শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব : আইজিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, রাষ্ট্র ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কর্মপরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে অপরাধ সংঘটনের কৌশল। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে। গতকাল সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৯তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই)-২০২১ ব্যাচের এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, অভিবাদন গ্রহণ এবং বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মাঝে পদক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, ৯৯৯ জনগণের আস্থার জায়গা দখল করে নিয়েছে। দেশ গঠন ও জনসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে জনবান্ধব ও সেবাধর্মী পুলিশিংয়ের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নবীন পুলিশ অফিসার হিসেবে মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে দক্ষতা, পেশাদারি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে পুলিশকে হতে হবে জনগণের আস্থার প্রতীক, জনগণের পুলিশ।

সব লোভলালসার ঊর্ধ্বে থেকে দেশপ্রেমের মহান ব্রতে দায়িত্ব পালনের জন্য ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপরাধ, বিপন্ন ও বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর যে কোনো দেশের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে। বাংলাদেশ আজ সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে স্থিতিশীল, জঙ্গিমুক্ত, মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদরবারে সুপরিচিত। বর্তমান সরকার পুলিশের জনবল বৃদ্ধি, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন করে বাংলাদেশ পুলিশকে বিশ্বমানের আইনি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন ও ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বাংলাদেশ পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

করোনা মহামারিকালে বাংলাদেশ পুলিশের সুমহান আত্মত্যাগ ও অনবদ্য অবদানের কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কভিড-১৯-এ কোয়ারেন্টাইনকালে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি খাবার সরবরাহ থেকে শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ (অতিরিক্ত আইজিপি) মীর রেজাউল আলমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে আইজিপি বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের পদক প্রদান করেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেন বেস্ট ক্যাডেট মঞ্জয় কুমার কুন্ডু, বেস্ট একাডেমিক আনিকা তাবাসসুম, বেস্ট ইন ফিল্ড এক্সিকিউটিভ রাবেয়া বসরী আঁখি, বেস্ট শুটার তূর্ণ মোহাম্মাদ মুহতাসিম ও বেস্ট সুইমার মো. তৌফিকুজ্জামান। প্যারেডে ৫১ নারীসহ ৭৬১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ খবর