বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভুয়া ডিবি গ্রেফতার

ডাকাতির টাকায় জমি গাড়ি বাইক ক্রয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একের পর এক অপকর্ম করে আসছিল চক্রটি। ডাকাতির টাকায় কিনত গাড়ি, জমি এবং বাইক। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। গত বছরের ৯ অক্টোবর সংঘটিত হওয়া চাঞ্চল্যকর এক ডাকাতির ঘটনায় ভুয়া দুই গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কব্জায় নিয়েছে আসল ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- আবুল কাশেম ওরফে জাহিদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। গত রবিবার থেকে টানা অভিযানে রাজধানীর ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা এবং পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের একটি দল। জব্দ করা হয় ডাকাতির টাকা দিয়ে কেনা একটি মাইক্রোবাস, তিনটি গাড়ি এবং একটি মোটরসাইকেল। সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা হাতানোর ঘটনায় নগদ উদ্ধার হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন। ডিবিপ্রধান জানান, পটুয়াখালী জেলার মহিপুর থানা এলাকা থেকে ডাকাতির টাকায় কেনা একটি অ্যাম্বুলেন্স, একটি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোবাস এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার মোস্তাফিজের নামে পাঁচটি ও কাশেমের নামে তিনটি মামলা রয়েছে। এসব ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় একাধিকবার তারা জেল খেটেছে।

জানা গেছে, গত বছরের ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের রূপসার একটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ থেকে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ইসরাত ফ্যাশনের এমডি জাকির হোসেন। গাড়িতে ছিল ৩ লাখ টাকা। আরও ২৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন যমুনা ব্যাংকের উপশাখা থেকে। যৌথভাবে একটি জমি কেনার জন্য মোট সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার পথে ডেমরার সুলতানা কামাল ব্রিজের ওপর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওঁতপেতে থাকা ডাকাতদের খপ্পরে পড়েন তিনি। গাড়িতে থাকা ভাগ্নেসহ ব্যবসায়ী জাকিরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। হাত-পা বেঁধে তাদের পূর্বাচলে ফেলে চলে যায় ডাকাত দল। পরে জাকির হোসেন ডেমরা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ডাকাত দলের সন্ধানে নামে ডিবি। এরই ধারাবাহিকতায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ধরা পড়ার ভয়ে ডাকাত দল ডাকাতির টাকা গাড়ি ও জমি কেনায় ইনভেস্ট করে। যেন সেই টাকা ফেরত দিতে না হয় বা নষ্ট না হয়। পরে ডাকাতির টাকায় কেনা গাড়ি ব্যবহার করে আবার তারা ডাকাতিতে নামে। অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, তাদের দুজনের নেতৃত্বে একটি ডাকাত দল দীর্ঘ কয়েক বছর দরে ডাকাতি পেশায় জড়িত। তারা ধরা পড়ার ভয়ে ডাকাতির টাকা নষ্ট বা বণ্টন না করে ইনভেস্ট করত। তারা তিনটি গাড়ি এবং একটি মোটরসাইকেল কিনেছে।

সর্বশেষ খবর