বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বগুড়ায় জোড়া খুনের পর আতঙ্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ঈদুল আজহার দিন রাতে বগুড়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে শহরবাসী। দিন দিন বগুড়ায় খুনের ঘটনা বেড়েই চলছে। একটি খুনের রেশ না কাটতেই আরেকটি খুনের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে যেমন খুন হচ্ছে। আবার নিজের আপনজন ও বন্ধুর হাতেও খুন হচ্ছেন অনেকে।

ঈদের দিন রাতে শহরের নিশিন্দারা চকরপাড়ায় মোহাম্মদ শরীফ ও তার মামাতো ভাই মোহাম্মদ রোমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শরীফ পেশায় এলপি গ্যাসের ব্যবসায়ী এবং রোমান শহরের সাতমাথায় ফুটপাতে ভ্যানে করে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। পরে এ ঘটনায় শরীফের মা হেনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু। অন্য আসামিরা হলেন- মিঠুর ভাই ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু, টিপুর ভায়রা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু, শেখ সৌরভ, নাঈম হোসেন এবং আজমিন রিফাতসহ ১৩ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জন।

এ ঘটনায় এর মধ্যে প্রধান আসামি সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুকে (৬০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গতকাল বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার শহরের বাদুরতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন নিশিন্দারা খাঁপাড়ার শেখ সৌরভ, নিশিন্দারা পূর্বপাড়ার নাঈম হোসেন এবং সুলতানগঞ্জপাড়ার আজবিন রিফাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, ঈদের দিন বিকালে বগুড়া শহরের নিশিন্দারায় সড়কের পাশে সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুর গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। এমন সময় রোমান মোটরসাইকেল নিয়ে চকরপাড়া ফিরছিলেন। রাস্তা পার হতে অসুবিধা হওয়ায় টিপুর গাড়ি চালকের সঙ্গে রোমানের বাগবিতন্ডা হয়। এর জেরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোটর শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু, তার ভাই সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু, সার্জিলের ভায়রা ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমুর নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন চকরপাড়ায় আসেন। তারা রোমানকে তারা খুঁজতে থাকেন। পরে রোমান শরীফকে ডেকে নেয়। বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে রোমানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

 প্রতিবাদ করলে শরীফকেও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তারা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ছাড়েন। গুলিতে শরীফের বন্ধু হোসেন নামে একজন আহত হয়।

সর্বশেষ খবর