বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

কোরবানি দিতে পারেননি অনেকে, পড়া হয়নি নামাজও

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ঈদ মানেই বাঁধভাঙা আনন্দ। খুশির জোয়ার। কিন্তু এবার ঈদুল আজহায় সিলেটবাসীর মনে ছিল বিষাদের ছায়া। ঈদের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে বন্যা ও জলাবদ্ধতা। সিলেট নগরীর বৃহৎ এলাকা জলমগ্ন থাকায় অনেকে ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারেননি। পানিবন্দি হয়ে পড়ায় অনেকে ঈদের নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে পারেননি। ঈদুল আজহার দুই দিন আগ থেকেই সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা বাড়ছিল। ঈদের আগের রাতে ভারী বর্ষণ হলে সুরমার পানি নগরে প্রবেশ শুরু করে। ফলে নগরের উপশহর, সাদাটিকর, তেররতন, সাদারপাড়া, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, মাছিমপুর, কাস্টঘর, ছড়ারপাড়, চালিবন্দর, কালিঘাট, কামালগড়, তালতলা, তেলিহাওর, জামতলা, মির্জাজাঙ্গাল, শেখঘাট, কাজিরবাজার, দাঁড়িয়াপাড়া, বরইকান্দি, ভার্থখলা, বঙ্গবীররোড, মিরাবাজার, যতরপুর, সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, কুশিঘাট, কানিশাইল, বনকলাপাড়া, কাজলশাহ, শামীমাবাদসহ শতাধিক এলাকা তলিয়ে যায়। রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও বুক সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এ অবস্থায় অনেকে কোরবানির পশু বাসা থেকে দূরে উঁচু এলাকায় নিয়ে বেঁধে আসেন। সকালেও ভারী বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা আক্রান্ত এলাকার অনেকেই পশু কোরবানি দিতে পারেননি। বিকালের পর থেকে কেউ কেউ সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে কোরবানি দেন। আবার কেউ দেন পরদিন। এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বেশির ভাগ এলাকায় ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।  বেশির ভাগ মসজিদে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে নামাজ পড়া হয়। সিলেটের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক শাহি ঈদগাহে। কিন্তু এবার বন্যা ও বৃষ্টির কারণে নামাজে উপস্থিত মুসল্লির সংখ্যা ছিল অনেক কম। বেশির ভাগ লোকজন শাহি ঈদগাহে না এসে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সর্বশেষ খবর