তেজস্বী যাদব। বয়স ২৬, বিয়ে করেননি। তিনি বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার যাবতীয় সমস্যা জানাতে জনগণকে হোয়াটসঅ্যাপের একটা নাম্বার দিলেন। সেই নাম্বারে সমস্যার কথাই লিখে পাঠাল ৪৪ হাজার তরুণী। সোজা বিয়ের প্রস্তাব পাঠাল তারা। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর কী দশা কে জানে— আমরা আপাতত জানি ব্যাচেলরদের সমস্যা কী। ব্যাচেলর বলতে এতদিন সবাই ছেলে ব্যাচেলরকে বিশেষভাবে বুঝে নিতে অভ্যস্ত ছিলেন। এবার আশা করি, মেয়ে ব্যাচেলরদের দিকেও নজর দেবেন। নইলে ৪৪ হাজার বিয়ের প্রস্তাব আসত না।
আজকাল ২১ পেরোনো মেয়েদের বিয়ের জন্য পীড়াপীড়ি করলে বলে, পরে। পরে পরে করতে করতে যতদিন ব্যাচেলর থাকা যায় আর কি। চুইংগামের মতো ব্যাচেলর দিন বাড়ানো। ওই ৪৪ হাজার তরুণী কেন ব্যাচেলর থাকতে চাচ্ছে না সেটা গবেষণার বিষয় হতে পারে।
বিয়ের জন্য অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের কালচার এক সময় খুব জনপ্রিয় ছিল। এখন প্রেম-ট্রেম করে ফেঁসে গিয়ে বিয়ে করার কালচার খুব চলছে। অভিভাবকরাও মোটামুটি খুশি— বিয়ে করে ফেঁসে গিয়ে ছেলেমেয়েরা খুব বেশি গাইগুই করতে পারে না।
প্রেমিকা ব্যাপারটা বড় রহস্যময়। খুব ভালো করে চারপাশে তাকালে দেখা যায় সফল প্রেমের হার ১০ পার্সেন্ট। তবে সফল প্রেমিকার হার ৯০ পার্সেন্ট। সেটা প্রেম সফল হোক আর বিফল হোক তাতে কিছু যায় আসে না। একজন প্রেমিক যদি গড়ে চারটা করে প্রেম করে তবে দেখা যাবে তার সাবেক প্রেমিকারা যার যার জায়গায় সফল। আপনারা যারা এ কথা মানতে নারাজ তাদের জন্য উদাহরণ টানা যেতে পারে। সাবেক প্রেমিকারা কোথায় আছে, কী করছে জানিয়ে দেই—
প্রথমজনকে বলেছিলাম, তোমার বাড়ি অনেক দূরে। শ্বশুরবাড়ি দূরে হলে সমস্যা। তখন সে অনার্স পড়ছে, ভাবলাম সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সেই প্রেমিকা এখন এয়ার হোস্টেস। তার ফেসবুকে চেকইন পড়ে, দুবাই, লন্ডন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর...
দ্বিতীয়জনকে বলেছিলাম, তোমাদের জানাশোনা কম। এলাকায় কয়জনে চিনে তোমাকে। উঁচু বংশ হলে একটা কথা ছিল। তখন সে অনার্স পড়ছে, ভাবলাম সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে এখন বিদেশি টিভিতে উপস্থাপিকা। সবাই তাকে চেনে, তার প্রশংসা করে। আজকাল শিডিউল দিলেও তার দেখা পাওয়া যায় না— এত ভিড়!
তৃতীয়জনকে বলেছিলাম, স্বাস্থ্যই সম্পদ। স্বাস্থ্য সচেতনতা জরুরি। তখন সে ডাক্তারি পড়ছে। ডাক্তারি পড়া এত সোজা? ভাবলাম সামনে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে প্রেমিকা এখন প্রথম সারির চিকিৎসক। ডায়েট করে, সুষম খাবার খায়। ত্বক ঝকঝক করে, দিব্যি সুস্বাস্থ্য নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকে। সৌন্দর্যের আগুনে ঝলমল করছে সে। তার বাসায় দিনে দুইটা করে বাতাসের বেগে বিয়ের প্রস্তাব যায়।
তো কী বোঝা যাচ্ছে? প্রেমে প্রেমিকারা বেশির ভাগই সফল। যারা চার নম্বর প্রেমিকার কাহিনী শুনতে চাচ্ছেন তারা অপেক্ষায় থাকেন। পরে লেখা যাবে। প্রেমিকা, বিয়ে এত সহজ জিনিস না। তেজস্বী যাদব ৪৪ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন বলে আপনিও পাবেন নাকি?