সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

লোকাল বাসে একঘেয়ামি কাটাতে

লোকাল বাসে একঘেয়ামি কাটাতে

নগরবাসীর জীবনের অর্ধেকই কাটে লোকাল বাসে। আজকাল লোকাল বাসে শসা কাটার যন্ত্র থেকে শুরু করে পিঠ চুলকানোর চিরুনি সব পাওয়া যায়। সেই ধারাবাহিকতায় লোকাল বাসগুলো আর কিছু জিনিস যোগ করলেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কী সেই জিনিসগুলো? জানাচ্ছেন— সোহানুর রহমান অনন্ত

 

মুদি দোকান : যেহেতু ঢাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে কাটাতে হয়। তাই বাসের পেছনে মুদি দোকান থাকতে পারে। সেখানে বসে যাত্রীরা পান সিগারেট খেয়ে আড্ডা মারতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত যানজট চলে। এমনকি প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনে নিতে পারবে সেই দোকান থেকে।

 

পকেটমার ট্র্যাকিং : বাসে অন্যতম সমস্যা পকেটমার। আর তাই পকেটমার ট্র্যাকিং অ্যাপস চালু করা যেতে পারে। পকেটমার বাসে উঠলেই অ্যাপস তাকে শনাক্ত করে এলার্ম দেবে। বাকি কাজ যাত্রীরাই করবে ‘হস্তমাইর’ দিয়ে।

 

টকশো : বাসে উঠলেই অনেকে ‘বিশেষ-অজ্ঞ’ হয়ে যায়। রাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান-অজ্ঞান সব বিষয়ই তার হাতের মুঠোয়— ভাবটা এমন। সে জন্য কুমড়া তেলের সৌজন্যে সেরা টকশোবিদ খোঁজার প্রতিযোগিতা চালু করা যেতে পারে। বাসের যাত্রীদের মাঝে এই টকশো হবে। এমনটা করলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি তুখোড় ‘বিশেষ-অজ্ঞ’ টকশোবিদদের পেয়ে যাবে।

 

সেলফি : ভাড়া দেওয়া নিয়ে হেলপারের সঙ্গে যাত্রীদের ক্যাঁচাল লেগেই থাকে। আর তাই নতুন সিস্টেম চালু করা যেতে পারে। যে যাত্রী ভাড়া দেবে হেলপার তার সঙ্গে সেলফি তুলবে নিজের মোবাইল দিয়ে। ব্যস, আর কোনো সমস্যা নেই, কোনো ক্যাঁচালও নেই।

 

গানে গানে যাত্রী ডাকা : বাসের যাত্রীদের গানে গানে ডাকা যেতে পারে। এই যেমন—

 

‘বাস ছাইড়া দে, গিয়ার বাড়াইয়া দে, ভটভটিয়ে চলে বাস ফার্মগেটের দিকে, হায়রে, ফার্মগেটের দিকে...’ এমন সুরেলা কণ্ঠ ডাকলে যাত্রীগণ না উঠে পারবেই না।

সর্বশেষ খবর