সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

বউয়ের আচরণের প্রকারভেদ

বউয়ের আচরণের প্রকারভেদ

বিয়ের পরপর : এই সময় তিনি যেন ভাজা মাছটি উল্টিয়ে খেতে পারেন না। স্বামীর সব কথাতেই জি, জি এবং জি।

 

বিয়ের কিছুদিন পর : সামান্য বিষয় নিয়ে তিনি মান-অভিমান করতে থাকেন। স্বামীর কাছ থেকে না শুনতে তিনি একেবারেই পছন্দ করেন না। স্বামীর ইতিবাচক কথাতে মন ভোলানো হাসি দিলেও নেতিবাচক কথার খেসারত কিন্তু স্বামীকে অনেক কিছুর বিনিময়ে দিতে হয়।

 

বাচ্চা হওয়ার পর : এতদিনে বেচারা স্বামী নিজেও বুঝতে পারেন না যে তিনি কখন বউয়ের ইচ্ছাবন্দী হয়ে গেছেন। ফলে তিনি দিন দিন বউয়ের পরিবর্তিত আচরণেই অভ্যস্ত হন।

 

বাচ্চা একটু বড় হওয়ার পর : দিন রাত হুকুমের পর হুকুম চলতে থাকে। নুন আনতে পান্তা ফুরানো স্বামীদের জীবন তামাতামা হওয়ার উপক্রম। কোনো কিছুতে না করলেও এই সময়ে মান-অভিমানের কোনো পর্বই থাকে না, সরাসরি অ্যাকশনে চলে যান বউরা।

 

মাঝ বয়সে : এই বয়সটা বউদের জন্য সুসময় আর স্বামীদের জন্য দুঃসময় বলতে পারেন। কারণ, এই সময়টাতে ঘরের ছেলে-মেয়ে, শ্বশুর, শাশুড়ি এমনকি টিভির রিমোটও বউদের কন্ট্রোলে থাকে। স্বামীদের কন্ট্রোলে থাকে শুধু বাজারের থলেটা। কারণ অফিসের সময় বাদ দিয়ে বাকি সময়টা তো স্বামীদের বাজার-সদাই নিয়েই দৌড়াদৌড়ি করতে হয়।

 

পড়ন্ত বয়সে : ছেলের বউয়ের নানারকম অভিযোগের কথা শুনতে শুনতে স্বামীদের কান একসময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়লেও বউয়ের সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হন তিনি। এ জন্যও সকাল-বিকাল ওষুধ খাওয়ার মতো বউয়ের কথা শুনতে হয়। বেচারা স্বামী তখন বলেন, ‘বয়সকালে নিজের বউকেই কিছু বলতে পারলাম না, আর এটা তো ছেলের বউ’।

 

শেষ বয়সে : বউয়ের আচরণ নতুন বউয়ের চেয়ে মোলায়েম হয়ে যায়।

 

— সোহেল রানা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর