ফেসবুকে বিভিন্ন ফ্যান পেজের অস্তিত্ব মাঝেমধ্যেই আমাদের নজরে আসে। এসব ফ্যান পেজ আমাদের কাছে নির্ভেজাল বিনোদনের খোরাক তো অবশ্যই, পাশাপাশি বিভিন্ন উপায়ে ফেসবুকের এসব ফ্যান পেজকে শ্রেণিবিভাগ করা যায়। কিন্তু কীভাবে? সেটাই জেনে নিন—
► ভুয়া ফ্যান পেজ : এ ধরনের ফ্যান পেজের কোনো কাজ নেই। তামিল নায়িকার ছবি দিয়ে এ ধরনের ফ্যান পেজ খোলা হয়। যখন যা ইচ্ছা তাই পোস্ট করে জনগণকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বেশিরভাগ সময়ই তাদের দেওয়া পোস্ট এড়িয়ে যায় ফেসবুকবাসী। হাসির বদলে বিরক্ত হয়। এক সময় ফ্যান পেজ ছেড়ে অন্যদিকে মনোযোগ দেয় সবাই। এ অবহেলা সহ্য করতে না পেরে আগের ফ্যান পেজ ছেড়ে নতুন করে ভুয়া ফ্যান পেজ চালু করেন ফ্যান পেজের চালকরা।
► জোকসের পেজ : ফেসবুকের জোকসের পেজগুলো মূলত আলোচনা করে বিভিন্ন ধরনের কৌতুকদীপ্ত জোকস এবং তার বিভিন্ন রূপরেখা এবং মানদণ্ড নিয়ে।
► আঠারো প্লাস পেজ : আঠারো বছরের নিচে অথবা যারা এখনো বুদ্ধিশুদ্ধিতে সতের বছর বয়সী তারা এ ধরনের পেজ চালান। তাদের পেজে পাবলিক ইচ্ছেমতো গালাগালি করতে পারে।
► জ্ঞানী পেজ : এ ধরনের পেজের কাজ হচ্ছে মানুষকে জ্ঞান দেওয়া। যে ধরনের ভালো ভালো কাজ নিজেরাই করেন না, এমন ধরনের কাজ করতে জ্ঞান বিতরণের চেষ্টা করে তারা। অনেক সুন্দর সুন্দর কথা প্রচার করে তারা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাদের লেখা, ছবি অনেক শেয়ার হয়।
► খেলাধুলা পেজ : ফেসবুকের কিছু খেলার পেজ খেলাপ্রেমীদের জন্যই। তারা মূলত ক্রিকেট, ফুটবল খেলার সর্বশেষ সংবাদ এবং বিভিন্ন লাইভ আপডেট প্রচার করে থাকে। এ ধরনের পেজের দর্শক-শ্রোতারা একেকজন খেলা বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রমাণে জান বাজি রাখতে পারেন।
► গুজব রটানো পেজ : ফেসবুকের আনাচে- কানাচে এভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ফ্যান পেজ, যারা নানা ধরনের মিথ্যা গুজব রটিয়ে সেখানে সুবিধাবাদীর ভূমিকা পালন করে থাকে।
► রোমান্টিক ফ্যান পেজ : ফেসবুকের আরও কিছু রোমান্টিক ফ্যান পেজ থাকে যারা আবার নতুন করে লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ জুটি নিপুণ হাতে তৈরি এবং ভাঙনের কাজটা করে থাকে। শুধু এখানেই শেষ নয়, এদের কিছু কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় এদের দুনিয়ায় আগমনই ঘটেছে প্রেম করার জন্য।
—অর্পণ দাশগুপ্ত
শ্যামলী, ঢাকা ১২০৭