কেমন আছেন?
এক কথা বারবার বলতে টায়ার্ড লাগে। অন্য প্রশ্ন করেন।
খবর কী?ওই মিয়া, আমি খবর বিলি কইরা বেড়াই নাকি? খবর জানতে টিভিতে পত্রিকায় চোখ রাখবেন।
এত চেইত্যা আছেন ক্যান ভাই?
চেইত্যা আছি? এইটারে চেত্যা বলে? চেত্যার তো কিছুই দেখেন নাই।
আচ্ছা বাদ দেন। সবাই তো আপনাকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। কেমন লাগে?
আমি ফেসবুক চালাই না। কী লিখছে সবাই?
লিখেছে, আপনি নাকি ফ্রিতে গান শোনান। কেউ ঘুমুতে পারে না। এইসব। দুঃখে হাসাহাসি করে।
মানে? রাত কী ঘুমানোর টাইম? আপনারা এত অলস ক্যান। আর আমরা ফ্রিতে গান শোনাই এটা আপনাদের কে বলছে?
কেউ বলে নাই। ফ্রিতে তো শোনান। কেউ টাকা-পয়সা দিয়ে আপনাদের গান শুনতে চেয়েছে এমন তো ঘটনা ঘটেনি।
দেখেন, আমরা এখন আন্ডারগ্রাউন্ড লেভেলে আছি। উঠতি সংগীতশিল্পী বলতে পারেন। সংগীতচর্চা চলছে। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আপনাদের কিছু মিউজিক ভিডিও দেখেছি। আমাদের চেয়ে আহামরি কিছু গান না।
কিন্তু আপনাদের গান তো কেউ শুনতে চায় না। জোর কইরা শোনান কেন?
জোর কইরা বিয়ে দেওয়ার ঘটনাও তো ঘটে। এটা খারাপ কিছু না। জোরাজুরি সব সময় নেগেটিভ না।
নেগেটিভ হোক পজেটিভ হোক। রাত-বিরাতে কানের কাছে প্যানপ্যান আর সহ্য হয় না কারও।
সহ্য হয় না? বলে দিলেন যা ইচ্ছা। আপনি জানেন মশার গান শুনে কত মানুষ হাততালি দেয়?
ওটা তালি না।
তালি না তো কী? কয়টা মশা মরে হাততালিতে?
বেশি না।
সেটাই।
আচ্ছা, আপনাদের এই সংগীতচর্চা নামের অত্যাচার থেকে বাঁচার উপায় কী? কামড়ান, রক্ত খান— ওইটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে, ঘুমের সময় গানটা বন্ধ করা যায় না?
না, যায় না। কই আমরা তো বলি, দুই নম্বর কয়েল, স্প্রে মারবেন না। আজকাল কয়েলের ধোঁয়া কত মশা এডিক্টেড (মাদকগ্রস্ত) হচ্ছে আপনাদের খবর আছে? মশা যুব সমাজ মাদকের আগ্রাসনে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ধুর। বাদ দ্যান। টা টা...