জল থই থই জীবনের স্রোতে যে নোঙর ফেলেছিলাম
তাতে মরচে লেগেছে, সরে গেছে জল, শুকনো মাটির
উপর পড়ে আছে বাতিল লৌহখণ্ড। রোজ ভোরে উঠেদেখি জীবন থেকে খসে পড়ছে একটি একটি পাতা, যেন
শীতের অরণ্য হারিয়ে ফেলছে নিকষিত হেম। জীবনের
নৌকো থেকে স্মৃতির বাঙ্গুলো নামিয়ে রাখি প্রতিদিন,
শীর্ণ নদীর ঢেউ ঘষাকাচের চশমায় মেতে ওঠে বিভ্রমে।
কী হবে আর জোছনার সাথে লুকোচুরি খেলে? মাঝে মাঝে
মনে হয় চাঁদটাও সরে যাচ্ছে অন্যদিকে, মেঘের ডানায়
আড়াল হয়ে যাচ্ছে আকাশের নীল, শ্রাবণের বৃষ্টির ফোঁটা
আমার ছাদে নয়, পড়ছে অন্য কোথাও, কোনো যুবকের
স্বপ্নের সাথে মিশে যাচ্ছে বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দ, আমার
আগাছাভরা উঠোনে এখন নিঝুম অন্ধকার শুয়ে থাকে মরা
সাপের মতো। হঠাৎ কখন যে তুমি উল্টে দিলে জলভরা
হিমালয়, দিগন্তপ্লাবী জলরাশির ওপর ভেসে উঠলো আমার
ভাঙাচোরা নৌকো, জলের ধাক্কায় পুরোনো নোঙর থেকে
খসে পড়লো মরচের দাগ! আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই
তুমি আমাকে টেনে নিলে ঘোলাজলে ডুবসাঁতার খেলায়।