গ্রামগঞ্জ থেকে ঘুঘুরা আসছে ধেয়ে
অনিচ্ছাডানায় গভীর ক্লান্তি বেয়ে
হয়তো ভাবছে এখনো রয়েছে শহরে কিছু বৃক্ষহায় বনঘুঘু, দ্যাখো মরুধুধু, নেই আজ কোনো রক্ষ!
এখন চৈত্রদুপুরে আরতো ডাকে না তক্ষ, উদাসীনও বুঝি যক্ষ!
নেই গাংচিল, নেই সুবাতাস, শূন্যতা হলো সখ্য!
হে জিজিবিষুঘুঘু, ডেক নাকো কভু, মরব সবাই অবশেষে মৃতগ্রহ পরিচয়ে?
ধবংস হব বুঝি নিশ্চিত মহাপ্রলয়ে? মিশে যাব শূন্যের সুবিশাল নীল অথৈয়ে?
ঘুঘু, বাঁচতে চাও কি নির্বন্ধ? তবে এখুনি কুমেরু আকাশের ফুটোকরে দাও বন্ধ
নচেৎ তামাম হোমোস্যাপিয়ান অমোঘ নিয়তির অমোঘ বিধানে হয়ে যাবে জন্মান্ধ।
দ্যাখো ডুবছে যে খানাখন্দ, রসাতলে যায় হাওয়ার বীণার ছন্দ
সাগরের জল ফুঁসছে কেবল-জানি নাকি অভিসন্ধ!
উষ্ণতা বেড়ে বয়লার হবে একদিন এই পৃথিবী?
নমনীয় হও, দাঁড়াক উঠে সাতশত কোটি মুমূর্ষু গ্রহজীবী।
হে মাঠঘুঘু, কেঁদো নাকো কভু, বড় অসহায় তুমি আজ
তোমার ডানার সুকোমলসাজ হারালোযে কারুকাজ!
আজ সকালে সজনের ডালে তোমার বোলে চোখে ভাসে সুখছবি-সবি
হায় বুনোঘুঘু, প্রার্থনা তবু, এঁকে দাও চোখে অনন্য এক ময়ূরাক্ষীর ছবি!