শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
গল্প

একটি হৃৎপিণ্ডের গল্প

এডগার অ্যালান পো অনুবাদ : সম্পদ বড়ুয়া

একটি হৃৎপিণ্ডের গল্প

অলংকরণ : শাকীর

সত্যিই আমি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। বেশ ভীতিজনক নার্ভাস বলা চলে। তবে সেজন্য আপনি কী আমাকে পাগল ভাবছেন? এ ধরনের রোগ কখনো আমার অনুভূতিকে নষ্ট বা নির্জীব করতে পারেনি। বরং বলা যায় আমার শ্রবণ-ইন্দ্রিয় বেশ ভালোভাবে কাজ করে। স্বর্গ-মর্ত্যের সব কিছুই আমি শুনতে পেতাম। নরকের কোনো কিছুও বাদ যেত না। তাহলে বলুন, আমি কি পাগল? শুনুন, লক্ষ্য করুন, কি সুস্থ শান্তভাবে আমি সমস্ত গল্প বলছি।

প্রথম ধারণাটা কীভাবে আমার মাথায় ঢুকেছিল তা প্রকাশ করা আমার জন্য কঠিন ব্যাপার। তবে একবার যখন ঢুকল দিন রাত তা আমাকে তাড়িত করল। কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, কোনো আবেগও তাতে কাজ করেনি। আমি বৃদ্ধ লোকটাকে ভালোবাসতাম। সে কখনো আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি, অপমান তো দূরের কথা। তার সম্পত্তির ওপরও আমার কোনো লাভ ছিল না। তবে আমার ধারণা তার চোখ দুটো যা শকুনের চোখের মতো এক বিবর্ণ নীল চোখ; কেমন যেন ধোঁয়াটে আভা। যখনই ওই চোখ আমার ওপর এসে পড়ত আমার রক্ত হিম হয়ে আসত। আর তাই খুব ধীরে ধীরে আমি লোকটার জীবন হরণ করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

এই হচ্ছে ঘটনা। আপনি আমাকে পাগল কল্পনা করতে পারেন। পাগল তো কিছুই জানে না। কিন্তু আপনি তো আমাকে দেখছেন— কি বিজ্ঞজনের মতো আমি সতর্কতা, দূরদর্শিতা আর ছলনার মাধ্যমে এগুচ্ছি। আমি কাজে নেমে পড়লাম। ওই বৃদ্ধ লোকটিকে হত্যার আগের সপ্তাহে তার প্রতি খুব সদয় হলাম। প্রতিদিন মধ্যরাতে আমি তার দরজার ছিটকিনি আস্তে করে টান দিয়ে খুলতাম এবং আমি আমার মাথা সেখানে ঢুকানোর মতো জায়গা করে একটা লণ্ঠন সেখানে স্থাপন করলাম। চারদিকে বন্ধ ছিল বলে কোনো আলো বাইরে আসেনি। এবার আমার মাথা ভিতরে ঢুকালাম। খুব সন্তর্পণে এ কাজ করতাম যাতে লোকটির ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে। এ কাজে আমি প্রায় এক ঘণ্টা সময় নিতাম। হে... হে... এবার ভাবুন, একজন পাগলের পক্ষে কি এ রকম বিজ্ঞ হওয়া সম্ভব? যখন আমার মাথা মোটামুটি রুমের ভিতর ঢুকল, আমি ল্যাম্পটা উসকে দিলাম খুবই ধীরে, সতর্কতার সাথে (কারণ হঠাৎ দরজার পাট্রা শব্দ করে উঠেছিল)। এবার ল্যাম্পটাকে এমনভাবে সরালাম যাতে একটা ক্ষীণ আলোর রেখা সেই শকুনে চোখ দুটোর ওপর পড়ে। পর পর সাতদিন আমি এ কাজ করেছি মধ্যরাতে। কিন্তু প্রতিবারই তার চোখ বন্ধ থাকায় আমার কাজটি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিদিন সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে বুক ফুলিয়ে তার রুমে ঢুকে তাকে মোলায়েম সুরে নাম ধরে ডাকতাম, রাত কেমন কেটেছে খবর নিতাম।

অষ্টম রাতে আমি অন্যদিনের চেয়ে বেশি সচেতন ছিলাম দরজা খোলার ব্যাপারে। ঘড়ির মিনিটের কাঁটাকে আমার হৃৎপিণ্ডের শব্দের চেয়ে বেশি তৎপর মনে হচ্ছে। ওই রাতের আগে আমি কখনো বুঝতে পারিনি আমার ক্ষমতা, বিচার বুদ্ধির দৌড় কতদূর পর্যন্ত প্রসারিত। বিজয়ের অনুভূতি টেরই পাইনি। আমি দরজা খুলে ধীরে ধীরে রুমে ঢুকলাম। লোকটি আমার দুরভিসন্ধি বা চিন্তাধারা কল্পনাও করতে পারেনি। পুরো বিষয়টা চিন্তা করে আমি প্রসন্ন মুখে হেসে উঠলাম। সম্ভবত সে আমাকে শুনতে পেয়েছে, বিছানার ওপর হঠাৎ হকচকিয়ে নড়ে উঠল। আপনি হয়তো ভাবছেন তখন আমি ফিরে এসেছি। মোটেই না। তার রুম আলকাতরার কালো ঘন অন্ধকার, জানালার কপাটগুলো চোর-ডাকাতের ভয়ে বন্ধ ছিল। আর তাই দরজা খোলার বিষয়টি সে লক্ষ্য করেনি।

মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে ল্যাম্পটা উসকে দিতে যাব এমন সময় আমার বুড়ো আঙ্গুলটা ফসকে টিনের কপাটের ওপর পড়ল। বৃদ্ধ লোটি ধড়ফড়িয়ে বিছানার বসে চিৎকার করে উঠল— ‘কে ওখানে’? আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলাম, পুরো এক ঘণ্টা আমি আমার শরীরের মাংসপেশি একটুও নড়াচড়া করিনি। এরই মধ্যে সে বিছানায় শুয়ে পড়েছে কি না আমি বুঝতে পারিনি। হয়তো বিছানার ওপর বসে সে শুনছে দেয়ালে মৃত্যুর ঘড়ির শব্দ রাতভর।

এবার আমি একটু গোঙানির শব্দ শুনতে পেলাম, এটা ব্যথা বা দুঃখের শব্দ নয়। প্রাণ যখন ভয়ে কাবু তখন এ ধরনের চাপা শব্দ আত্মার ভিতর থেকে বের হয়। আমি এ শব্দ ভালোই বুঝি। মধ্যরাতে যখন সারা পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়ে তখন এ ধরনের শব্দ আমার ভিতর কেঁপে উঠে, এর ভীতিপূর্ণ প্রতিধ্বনি আমাকেই হকচকিয়ে দেয়। তাই বলছি আমি একে জানি ভালো। আমি জানি লোকটির অনুভূতি কি। আমি নিজেই হেসে উঠি আর তার জন্য দুঃখ করি। আমি নিশ্চিত প্রথম সামান্য শব্দ হওয়ার পর থেকেই লোকটা জেগে আছে বিছানায়, তার নিজের ভয় নিজের ওপরই বাড়ছে। ভিত্তিহীন অলীক বলে সে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেও পারছে না। নিজে নিজেই হয়তো বলছে, ‘কিছুই না’ চিমনির মধ্যে হয়তো বাতাস ঢুকেছে, কিংবা হয়তো একটা ইঁদুর মেঝেতে দৌড়ে পালাল। এটা ঝিঁ ঝিঁ পোকার শব্দও হতে পারে। এভাবে সে সান্ত্বনা খুঁজছে নিশ্চয়ই। কিন্তু সবই বৃথা, মৃত্যু তার শরীরের ছায়াকে খুব সন্তর্পণে মাড়িয়ে তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তার শুয়ে পড়ার শব্দ না শুনেই আমি ল্যাম্পের সূক্ষ্ম সরু আলোর পথ খুলে দিই খুবই সন্তর্পণে, তারপর এক সময় মাকড়সার সুতোর মতো একটা মৃদু আলো রেখা এসে সেই শকুনে চোখের ওপর গিয়ে পড়ল। তার চোখ খোলাই ছিল। তা দেখে আমি উত্তেজিত হয়ে পড়লাম। সম্পূর্ণ মনোযোগের সাথে তাকালাম। নিরস নীল রং তাতে, একটা কুৎসিত পর্দায় আচ্ছন্ন যা আমার পাঁজরের হাড়গুলোকে শীতল করে রেখেছে। বুড়ো লোকটির শরীর আর চেহারার অন্য কোনো উল্লেখযোগ্য জিনিস চোখে পড়েনি।

আমার এ কাজগুলো পাগলামি নয়, বরং বলতে পারেন ইন্দ্রিয়ের অধিক কর্মক্ষমতা। আমার কানে অনবরত বাজছে এক নিচু অথচ দ্রুত শব্দ। ঘড়িকে তুলোর মধ্যে আবৃত রাখলে যে রকম শব্দ হয় অনেকটা তাই। ওই শব্দ আমার জানা। ওটা বৃদ্ধ লোকটির হৃৎপিণ্ডের কম্পন। ড্রামের শব্দে সৈন্যরা যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে উজ্জীবিত হয়ে উঠে, ওই শব্দ আমার ভিতরেও ক্রোধ জাগায়। তবুও নিজেকে নিবৃত্ত করে স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে থাকলাম। নিঃশ্বাস পর্যন্ত বন্ধ রাখলাম। ল্যাম্পটাকে এতটুকু নড়াচড়া করলাম না। শুধু চেষ্টা করলাম কীভাবে আলোর রেখা সরাসরি চোখের ওপর ফেলতে পারি। ইতিমধ্যে তার হৃৎপিণ্ডের বীভৎস কম্পন বাড়তে লাগল এবং প্রতিমুহূর্তে দ্রুত থেকে দ্রুততর, উচ্চ থেকে উচ্চতর পর্যায় অতিক্রম করতে লাগল। বৃদ্ধ লোকটির ভীতি সম্ভবত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আপনারা আমার কথা খেয়াল করেছেন? আগেই তো বলেছি আমি নার্ভাস হয়ে পড়েছি। তার সাথে এই নিশীথ রাতে এ পুরনো বাড়িতে এ ধরনের অদ্ভুত শব্দে এক অপ্রতিরোধ্য ভয় আমাকে পেয়ে বসল। তথাপি নড়াচড়া না করে সটান দাঁড়িয়ে থাকলাম। এদিকে কম্পনের শব্দ বাড়ছে, বাড়ছে। মনে হচ্ছে যে কোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটবে। নতুন এক চিন্তা আমাকে গ্রাস করল। বুকের এই ধুকপুকানি যদি প্রতিবেশী শুনতে পায়। বৃদ্ধ লোকটির সময় শেষ হয়ে আসছে। ল্যাম্পটা ছুড়ে মেরে একটা তীব্র চীৎকার দিয়ে রুমের ভিতর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। সে একবার গোঙানির শব্দ করল, মাত্র একবার। তত্ক্ষণাৎ আমি তাকে টেনে মেঝেতে আনলাম, ভারী বিছানাটা তার ওপর ফেললাম। আনন্দের সাথে হাসলাম, কারণ আমার কাজটা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তবে বেশ কয়েক মিনিট ধরে আমার হূদয়ে ধড়ফড় শব্দ চলতে লাগল। এটা অবশ্য আমাকে বিব্রত করতে পারেনি, দেয়াল পেরিয়ে বাইরে তা শোনা যাবে না। এক সময় শব্দটা থেমে গেল। বৃদ্ধ লোকটি এখন মৃত। বিছানা সরালাম এবং মৃতদেহ পরীক্ষা করলাম। মরে পাথর হয়ে গেছে। তার বুকের ওপর হাত রাখলাম কয়েক মিনিট, না তাতে কোনো সাড়া নেই।

মৃতদেহটা লুকানোর ব্যবস্থার মধ্যে আমার এতটুকু পাগলামো নেই, বরং আমার চালাকির চমৎকারিত্বে আপনারা মুগ্ধ হবেন। রাত ফুরিয়ে যাচ্ছে, আমি ক্ষিপ্রতার সাথে নিঃশব্দে কাজ শুরু করলাম। প্রথমে শরীরটাকে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেললাম, মাথা, হাত, পা কেটে রাখলাম আলাদা করে, তারপর ওই রুমের মেঝের তিনটি ইটের চাক তুলে সেখানে শরীরের সব কিছু ভরে দিলাম। চাকগুলো এমনভাবে পুনঃস্থাপিত করলাম যা কারও পক্ষে ধরা সম্ভব নয়। ধোয়া মোছার কোনো ব্যাপার সেখানে ছিল না, কারণ দাগ বা রক্তের কোনো চিহ্ন সেখানে নেই।

এসব কাজ শেষ করতে করতে ভোর চারটা বেজে গেল। এখনো অন্ধকার চারদিকে। দূরে ঘণ্টা বাজার পর পরই রাস্তার দিকে দিকে দরজায় ভারী টোকা পড়ল। আমি হালকা মনে দরজা খুলতে গেলাম। তিনজন লোক ঘরে ঢুকল। তারা ভদ্রভাবে নিজেদের পুলিশ অফিসার বলে পরিচয় দিলেন। রাতে একজন প্রতিবেশী একটা চিৎকার শুনেছিল, থানায় খবর দেওয়ার সুবাদে এলাকাটা তল্লাশির জন্য তাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

আমি হেসে তাদের সাদর আমন্ত্রণ জানলাম। বললাম, চিৎকারটা আমারই ছিল, স্বপ্নের মধ্যে করেছিলাম। আরও বললাম— এ বাড়ির বৃদ্ধ লোকটি নেই, গ্রামের বাড়ি গেছে। আমি তাদের সারা বাড়ি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখালাম। প্রয়োজন হলে খুঁটিয়ে সব কিছু দেখার জন্য বললাম। সর্বশেষে তাদের বৃদ্ধ লোকটির খাস কামরায় নিয়ে তার সব সম্পত্তি দেখালাম যাতে এতটুকু হাতের ছোয়া লাগেনি। নিজের ওপর অত্যধিক আস্থাশীল হয়ে তাদের শোবার রুমে চেয়ার পেতে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করলাম আর চূড়ান্ত বিজয়ের তীব্র অহমিকায় আমার চেয়ারটি সেখানেই বসালাম যেখানে বুড়োর লাশ পোঁতা হয়েছে।

পুলিশ অফিসাররা খুশি হলেন। আমার আচরণ তাদের আশ্বস্ত করেছে। আমিও হালকা বোধ করলাম। তারা আলাপ করছিল সাধারণ বিষয় নিয়ে, আমি আনন্দে অংশগ্রহণ করলাম। কিন্তু অল্পক্ষণ পর মনে হলো আমি ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছি। আমার মন বলছে তারা চলে যাক। আমার মাথায় যন্ত্রণা, কানের কাছে ক্রমাগত ভোঁ ভোঁ শুনছি। তারা বসে আছে এবং নিজেদের মধ্যে খোশমেজাজে গল্প করছে। কানের কাছে যে শব্দ বাজছিল তা আরও পরিষ্কার হলো, থামার কোনো লক্ষণ নেই। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য অনেকটা যেচে তাদের সাথে কথা বললাম। তবু শব্দটা আমাকে অতিষ্ঠ করে তুলল। বুঝতেই পারছেন আমি আরও ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছি; তার মধ্যেও দ্রুত অবলীলায় কথা বলে যাচ্ছি, অনেকটা বড় গলায়, কিন্তু শব্দটা বাড়তে লাগল। আমি এখন কি করব? শব্দটা চাপা কিন্তু দ্রুতলয়ে, একটা ঘড়িকে তুলোর মধ্যে আবদ্ধ রাখলে যে রকম হয় অনেকটা তাই। আমি দ্রুত নিঃশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করলাম। অফিসাররা তাও শুনতে পেলেন না।

মরিয়া হয়ে জোরে কথা বলতে চাইলাম। কিন্তু শব্দটা তাতেও বাড়ছে, কমছে না। এবার দাঁড়িয়ে পড়লাম আর ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তাদের সাথে তর্ক জুড়ে দিলাম। হাত পা ছুড়ে চড়া স্বরে কথা বলার পরও শব্দটা আমাকে যেন পেয়ে বসল। লোকগুলো যাচ্ছে না কেন? আমি লম্বা পা ফেলে মেঝের এদিক ওদিক হাঁটতে শুরু করি যেন তারা মনে করে তাদের এহেন কাজে আমি উত্তেজিত। কিন্তু হায় তার পরও কোনো কিছু হলো না। খোদা এবার আমি কি করব? হঠাৎ সামান্য কথায় চটে উঠলাম, উল্টাপাল্টা কথা শুরু করলাম। এক সময় বসার চেয়ারটা সরিয়ে তা দিয়েই মেঝের ওই আবরণের উপর জোরে ঘষতে লাগলাম। এবার সবকিছু ছাপিয়ে সেই অদ্ভুত শব্দটা কানে বাজছে। তীব্র হচ্ছে। লোকগুলো বেহায়ার মতো তখনো হাসিমুখে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এটা কি সম্ভব যে তারা শব্দটা শুনছে না। না... না। তারা নিশ্চয়ই শুনছে এবং আমাকে সন্দেহ করছে।

তারা জানতো সব। শুধু শুধু আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছে যেন কিছুই জানে না। কিন্তু এ যন্ত্রণা যে অসহ্য। এ ধরনের হাসি তামাশা থেকে অন্য যে কোনো কিছুই অনেক সহনীয়। তাদের সেই শঠতার হাসি আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে আমি চীৎকার করব, মরে যাব। আবার সে শব্দ আরও জোরে... আরও জোরে, আরও...।

‘ওহে শয়তানের বাচ্চারা আমি শেষ পর্যন্ত জোরে চিৎকার করে উঠলাম— আর লুকোচুরি করিসনে। আমি অপরাধ স্বীকার করছি। এ... এ পাথরটা তুলে দেখ। এখানে... হ্যাঁ। এখানেই বুড়োর প্রাণের হৃৎপিণ্ডটা বাজছে।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর