শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
স্মৃতিকথা

আমার প্রিয় শিক্ষক রফিক স্যার

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

আমার প্রিয় শিক্ষক রফিক স্যার

(পূর্ব প্রকাশের পর)

আমি একদিন খুব তাগাদার সুরেই বললাম, বইগুলো তাঁকে রাখলেই তো হয়। ফ্লোরে যেভাবে গাদাগাদি করে বই রাখা হয়েছে, দেখে মনে হয় বইয়ের জংগল। স্যার বিজ্ঞের মতো বললেন, ব্যাপার আছে। বলেই, একটা বই আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এই পাতার শেষ অংশ পড়ো। দেখলাম সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত ‘বই কেনা’ প্রবন্ধ।

আমি বললাম, এটা আমি বহু আগেই পড়েছি। স্যার বললেন, ঠিক আছে, আবার পড়ে দেখো না। জোরে জোরে পড়ো। আমি পড়া শুরু করলাম। মার্ক টোয়েনের লাইব্রেরিখানা নাকি দেখার মতো ছিল। মেজে থেকে ছাদ পর্যন্ত বই, বই আর শুধু বই। এমনকী কার্পেটের উপরও গাদা গাদা বই স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে থাকত-পা ফেলা ভার। এক বন্ধু তাই মার্ক টোয়েনকে বললেন, ‘বইগুলো নষ্ট হচ্ছে; গোটা কয়েক শেলফ জোগাড় করছ না কেন?’ মার্ক টোয়েন খানিকক্ষণ মাথা নিচু করে ঘাড় চুলকে বললেন, ‘ভাই বলেছ ঠিক। কিন্তু লাইব্রেরিটা যে কায়দায় গড়ে তুলেছি শেলফ তো আর সে কায়দায় জোগাড় করতে পারিনে। শেলফ তো আর বন্ধু-বান্ধবের কাছে ধার চাওয়া যায় না।’ আমার পড়া শেষ হতেই দুজনেই হুহু করে হেসে উঠলাম। তো তাহলে ব্যাপারখানা এই!

একজন শিক্ষক কেমন করে ছাত্রের শিক্ষাগুরু হওয়ার পাশাপাশি প্রকৃত বন্ধুও হয়ে উঠতে পারে, রফিক স্যার তার জ্বলন্ত প্রমাণ। পরম্পরা গুরু-শিষ্যের মাঝে যে-ভীতির পাঁচিল যুগ যুগ ধরে দাঁড় করিয়েছে, তা এক ফুঁৎকারে ভেঙে দিতেন তিনি। দেখা মাত্রই এমন একটা প্রাণখোলা হাসির স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দিতেন, যেন এই ছাত্রের জন্যই তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন। স্যার-যে কতটা সহজ, সাদাসিধে, নিরহংকার এবং নির্মোহ মানুষ ছিলেন, তা তাঁর অনাড়ম্বর যাপিত জীবনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। ‘প্লেইন লিভিং, হাই থিঙ্কিং’-এর এমন প্রতিরূপ সচরাচর চোখে পড়ে না।

২০০৬ সালের কথা। আমি তখন মফস্বলের একটি জেলায় কর্মরত। বশীর ভাই ফোন করে বললেন, ‘একটা আর্টিকেলের ইনপুটের জন্য শাহীন ম্যাডামের কিছু তথ্য দরকার। তিনি ছিন্নমূল/অনগ্রসর পরিবারের শিশুদের বিষয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান। এ কাজটা তোমার ওখানে থেকে করতে চান ম্যাডাম। আমি আনন্দের সঙ্গেই বললাম, তাহলে আপনি আর মনু ভাইও এসে বেড়িয়ে যান। আমি স্যারকেও আসতে বলি। দিন তারিখ ঠিক হলো। আমি তো আনন্দে উদ্বেল। শাহীন ম্যাডামও আমাদের কাছে স্যারের মতোই সমান প্রিয়। তবে এই দুই বন্ধু সারাটা জীবন একে অপরকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে ছিল সিদ্ধহস্ত। ‘কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান/দু’জনেরই দেখি আমি চোখেতে মহান।’ আক্রমণে একজন অর্জুন হলে আরেকজন কর্ণ। তাঁদের এই মধুর বিবাদ থেকে-যে কতো কি শিখেছি, সেই দস্তাবেজ এখানে খুলার স্থান সংকুলান নেই। নির্মল-নির্দোষ খুনসুটি, বাদানুবাদ, তুচ্ছ বিবাদ সবই শিল্প- সাহিত্যকেন্দ্রিক।

১৮ আগস্ট বিকালে আমার বিশিষ্ট অতিথিরা আমার বাসায় এসে পৌঁছান। তারপর খাওয়া-দাওয়া এবং পথের ক্লান্তি দূর করার ক্ষণিকের বিশ্রাম। স্যার আমাকে দিলেন একুশে বইমেলায় প্রকাশিত তাঁর বই ‘দূরের দেশ নয় আয়ওয়া’। আর ম্যাডাম দিলেন তাঁর বাবা কবীর চৌধুরীর জীবনস্মৃতিমূলক রচনা ‘নাইবা হল পারে যাওয়া’ বইটি।

সন্ধে থেকে শুরু হলো সাহিত্য আড্ডা। বলা যায় বিশ্বসাহিত্য আলোচনা সভা। বাদ যায়নি কিছুই। কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, চিত্রশিল্প, সিনেমা, সংগীত, গজল-সবই এসেছে প্রাসঙ্গিকভাবে। স্যারের সঙ্গে কখনো একমত, কখনো দ্বিমত করেন ম্যাডাম। আবার চাল ঘুরে যায়। স্যার এক কাঠি উপরেই থাকেন। আবৃত্তিও হলো। আমার উপর্যুপরি উপরোধে স্যার আবৃত্তি করলেন ‘খোলা কবিতা’ থেকে : ‘কোনই সমস্যা নেই। লুঙ্গি ছিঁড়ে গেছে? তালি মারো/গেঞ্জি নেই? ঘামে ভেজা উদম শরীর রোদে সেঁকো/সপ্তাহের ছ’টি দিন দানাপানি পড়েনি নালীতে?/তাতে কি? একটি বেলা কায়ক্লেশে অনাহারে থাকো/মেরুদণ্ড বেঁকে গেছে? আরও একটু বেঁকে যেতে দাও/সোজা হয়ে দাঁড়াবার যত্তোসব অসহ্য যন্ত্রণা/এর থেকে মুক্তি পাবে। আজেবাজে সাধ ইচ্ছেগুলো/মরে যাচ্ছে? যেতে দাও। অহেতুক হল্লা চেঁচামেচি/মিছিল মিটিং বাদ প্রতিবাদ; কিছুটা শান্তিতে/থাকা যাবে। পোলাপান খেতে চায়; বলে দাও, মানা/খেতে মানা, পরতে মানা; চতুর্দিকে ভূতুড়ে শাসন...।’

ম্যাডাম বললেন, ‘তোমার স্যারের এই কবিতা আর কতো শুনবো! তোমার কবিতা শোনাও।’ ভয়-সংশয়ে আমার জিহ্বা শুকিয়ে গেলো। বিব্রত হয়ে চুপ করে রইলাম। আমার কবিতা? তাও আবার রফিক স্যারের সামনে! মনে হলো, ম্যাডাম স্যারকে জব্দ করার জন্য আমার মতো নরাধমকে বলিতে চড়ালেন। স্যারও তাল মিলালেন। বললেন, ‘পড়ো, শুনি তোমার কবিতা।’ আমি আমতা আমতা করে আমার ‘পঞ্চপর্ণ’ থেকে কয়েকটা শোনালাম। ম্যাডাম মন্তব্য করলেন, ‘বাহ, বেশ মজার তো! পড়ো তো আরও কয়েকটা।’ আমি স্যারের প্রতিক্রিয়া আঁচ করতে তাঁর মুখের দিকে তাকালাম। গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, ‘ভালো হয়েছে। তবে কবি হতে আরও সময় লাগবে।’ আর যায় কোথায়! মওকা পেয়ে গেলেন ম্যাডাম। ‘বুঝছো নেয়ামত! গোটা পৃথিবীতে একজনই কবি আছেন, তিনি হচ্ছেন তোমার রফিক স্যার। আর সব কবিকেই কবি হতে আরও সময় লাগবে।’ বাহাস শুরু হলো। উদারা-মুদারা-তারায় বাহাসের মূর্ছনা। রাত গভীর হচ্ছে। ডিনারের সময় পেরিয়ে গেছে বহু আগেই। তাই আমি রণভঙ্গের কৌশল নিলাম। ‘স্যার, খাবার ঠান্ডা হয়ে গেছে সব। খাবার টেবিলে চলুন।’ না, ব্যর্থ চেষ্টা। শেষে বশীর ভাইয়ের সাহায্য নিলাম। এবার সফল হলাম।

রাতে শোবার আগে স্যার বললেন, ‘হারমোনিয়াম জোগাড় রেখো। সকালে শাহীনের গান শুনবো।’ শিল্পকলা একাডেমি থেকে হারমোনিয়াম এনে রাতেই রেখে দেওয়া হয়েছে সেন্টার টেবিলে। ভোরবেলায় আমাদের ঘুম ভাঙলো ‘এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে/আনন্দবসন্তসমাগমে’- এই সুরের তানে। আমি এসে দেখি ম্যাডাম চোখ বন্ধ করে অন্তরের সব দরদ ঢেলে দিয়ে গেয়ে চলেছেন। আমি নিঃশব্দে পাশের সোফায় বসে রইলাম। স্যারও তাঁর রুম থেকে বেরিয়ে এলেন। তিনিও শেষতক শুনলেন। ম্যাডাম চোখ খুলতেই স্যার বললেন, ‘গানের সুরে গণ্ডগোল হয়েছে।’ ম্যাডাম বললেন, ‘তাই নাকি? তা হলে তুমি গেয়ে শোনাও দেখি শুদ্ধসুরে।’ স্যার বললেন, ‘আমি কি গাইতে পারি নাকি?’ ‘তাহলে গান সুরে পড়েনি কী করে বুঝলে?’ ম্যাডামের এ প্রশ্নের জবাবে স্যার বললেন, ‘আমার কান বলছে, গানটা বেসুরো হচ্ছে। কাব্য সমালোচনায় পারঙ্গমতার স্বাক্ষর রাখতে কি মোহিতলাল মজুমদার, প্রমথ চৌধুরীকে বড় মাপের কবি হতে হয়েছে?’ নাস্তার সময় গড়িয়ে যাচ্ছে বলেই সেই বাহাসের অকাল প্রয়াণ ঘটলো।

সন্ধ্যায় এক সুধী সমাবেশে স্যার বক্তব্য রাখলেন আধাঘণ্টা। শ্রোতাদের কাছ থেকে দাবি আসে আরও শোনার। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি বক্তব্য রাখলেন আমাদের সমাজ, রাজনীতি এবং সাহিত্যের ওপর। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনলো সমস্ত সমাবেশ। আমার মনে হয়, ‘কবি মোহাম্মদ রফিক-এর বক্তৃতামালা’ কেউ সংকলন করে থাকলে, তা হবে মাস্টারপিস। কবির সঙ্গ পাওয়ার আরেক নাম বোধকরি কবিতায় বসবাস। ছন্দ-তাল-লয়ে বসত। দুদিনে আমার তেমনটাই উপলব্ধি হয়েছে।

রাতে আমার স্টাডিতে স্যার আমাকে ডাকলেন। জানতে চাইলেন আমার থিসিস কতটা এগিয়েছে? আমি আমার প্রস্তুতি দেখালাম। ব্রিটেন থেকে আমার এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় যে সব দামি বই-পুস্তক জোগাড় করেছি, সব দেখালাম। স্যার হতাশ হলেন। বললেন, ‘কী এক মহাযজ্ঞ! এতো লিখছো কেন? তোমার গন্তব্য কোথায়, সেটাই তো বুঝলাম না। পড়া এবং লেখা কিছুদিন বন্ধ রাখো। এখন তোমার কাজ কেবল ভাবা। ভাবতে থাকো, তুমি শেষতক কি বলতে চাও। আর সে মঞ্জিলে কোন তরিকায় পৌঁছানো যাবে!’ বলেই, টেবিলের খাতাটা টেনে নিয়ে লিখতে শুরু করলেন। আমি মূর্তির মতো বসে থাকলাম। পৃষ্ঠা তিনেক লিখে বললেন, ‘দেখো। আমাকে পড়ে শোনাও।’ দেখলাম, ওখানে কতগুলো হেডলাইন আর সাব-হেডলাইন। পড়া শেষ হলো। ‘এখন তোমার কাজ হলো প্রতিটা হেডলাইনের জন্য একটা করে আলাদা খাতা বানানো। এ যাবৎ যা লিখেছো, সেগুলোর মধ্যে যা-যা যে হেডলাইনের আওতায় পড়বে, সেগুলোকে সেখানে লিখা। আগে ভাবো ফাইন্ডিংস কী হবে তোমার? এখানে আমি তিনটা সম্ভাব্য ফাইন্ডিংস চিহ্নিত করেছি। তুমি ভেবে দেখো আরও কিছু পাও কিনা!’ লিভিং রুম থেকে ম্যাডামের কণ্ঠ শোনা গেল? ‘নেয়ামত, তোমার স্যারের পরামর্শ শুনলে সক্রেটিস হতে পারবে, তবে পিএইচডি ডিগ্রি পাবে কিনা, তা বলা মুশকিল।’ স্যার ফিস ফিস করে বললেন, ‘শাহীনের কথা বুঝেছো? সকালে গান বেসুরো গাইছি বলাতে এখন কাউন্টার অ্যাটাক করছে। আসলে ও-কিন্তু রবীন্দ্র সংগীত ভালোই গায়। যখন গায়, পুরো দরদ দিয়েই গায়।’

স্যার স্টাডি থেকে বেরিয়ে গেলে ম্যাডাম এসে আমাকে চাপা গলায় বললেন, ‘তোমার স্যারকে ক্ষেপানোর জন্যে আমি ও-সব বলেছি। রফিক যে লে-আউট দিয়েছে, সেটা ফলো করে থিসিস এগিয়ে নাও। ও-কিন্তু অসম্ভব জ্ঞানী মানুষ।’ ম্যাডামের কথা শুনে আমার চোখে পানি এসে গেলো। এক বন্ধুর প্রতি আরেক বন্ধুর এমন অকুণ্ঠ শ্রদ্ধাবোধ সত্যিই আমাদের জন্য এক অনন্য দীপ্ত দৃষ্টান্ত হতে পারে।

কিছুকাল বাদে আমি ঢাকায় বদলি হই। স্যার ফোন করে বললেন, পরদিন ঢাকায় আসবেন। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের ‘বেঙ্গল বই’ শপে যাবেন। আমি পরদিন শাহবাগ থেকে তাঁকে পিক করে ধানমন্ডিতে আমার বাসায় নিয়ে আসি। স্যার আসবেন বিধায় বাসায় প্রস্তুতিও ছিল দুপুরের খাবারের। খাবার শেষে বললেন, ‘চলো, বুক শপে যাই।’ বিশ্বসাহিত্যের নতুন প্রকাশিত বই একটার পর একটা হাতে তুলে নিচ্ছেন, আর সেগুলো সম্পর্কে আমাকে টীকাভাষ্য জানাচ্ছেন। দাম দেখে ‘এতো দাম’ বলে রেখে দিচ্ছেন। আমি দেখলাম, বইগুলো পছন্দের, কিন্তু দাম (ডলার/পাউন্ড/ইউরো) দেখে রেখে দিচ্ছেন। আমি শপের একটা ছেলেকে বললাম, ‘স্যার যে-যে বই নিয়ে আমাকে ব্রিফ করে, সে যাতে ওগুলোকে ফ্রন্ট কাউন্টারে আলাদা করে নিয়ে যায়।’ স্যার বললেন, ‘না, কেনা যাবে না। বইয়ের দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ওরা।’ ‘কষ্ট করে যখন আসলেনই তখন অন্তত একটা হলেও কিনেন স্যার।’ আমার এ কথা শুনে ফিরলেন। সবচেয়ে পছন্দেরটা নিয়ে কাউন্টারে আসলেন। আমি বললাম, এইটার দাম কিন্তু আমি দেবো। স্যার ক্ষেপে গেলেন। ‘তোমার দিতে হবে কেন? আমার কাছে কি টাকা নাই?’ ‘বিষয়টা টাকার না। আমি কি আমার স্যারকে একটা বই প্রেজেন্ট করতে পারি না?’ বলতে বলতে আমি বইটা হাতে নিয়ে দাম দিয়ে দিলাম। স্যারের আপত্তির দিকে আমি কানই দিলাম না। বাকি বইগুলো আমার হাতের পাশেই সাজানো। আমি বললাম, ‘ভাই, এগুলোর কতো দাম হলো?’ আর স্যারকে বললাম, ‘এগুলো সম্পর্কে যখন এতোই প্রশংসা করলেন, তাহলে এগুলো আমার জন্যে নি’।

স্যারকে জাহাঙ্গীরনগরে নামিয়ে দেওয়ার জন্যে রওনা হলাম। পথে স্যারের শৈশবের কিছু মজার মজার গল্পও শুনলাম। স্যারের সঙ্গেই তাঁর বাসায় ঢুকি। আর আমার বইয়ের ব্যাগটা আমার পাশের চেয়ারে রেখে স্যারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে বিদায় নিয়ে আমি বাসা থেকে বের হয়ে আসি। গাড়িতে উঠতেই স্যারের কণ্ঠ শুনতে পেলাম; ‘এই নেয়ামত, তোমার বইয়ের ব্যাগ ফেলে গেছো।’ আমি গাড়ির জানলা দিয়ে মুখ বের করে বললাম, ‘আপনি রেখে দেন স্যার, এগুলো গুরুদক্ষিণা।’

স্যারের পুণ্য স্মৃতির প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি আমার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ। আর তাঁর ‘অন্তিম উত্থান’ কবিতা দিয়ে শেষ করছি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন। ‘তুমি নেই, চলে গেলে/অন্ধকার নয়, দেখি আলো/চতুর্দিকে বিচ্ছুরিত আলো/জীবনের আলো, মরণের আলো/শেষ বিকেলের আলো/খেলা করে চোখে মুখে/এই আলোতেই ঘটে বিপদ ভঞ্জন/ মৃত্যু তবে শেষ নয়, শুরু/আলোতেই হোক তবে অন্তিম উত্থান!    

[সমাপ্ত]

সর্বশেষ খবর