সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

দেশে-বিদেশে উন্নয়নের সঙ্গী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, উপাচার্য, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

দেশে-বিদেশে উন্নয়নের সঙ্গী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা

গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। অর্থাৎ টিকে থাকতে হলে এবং সার্বিক উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবমুখী করতে হবে...

 

সাক্ষাৎকার

উচ্চশিক্ষা বিস্তারে কেমন ভূমিকা রাখছে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়?

: একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যাত্রা শুরু করেছে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে এখন প্রায় ৮ হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগ থেকে পাস করে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। এসব গ্র্যাজুয়েট দেশ-বিদেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সব শর্তাবলি পালন করে আমরা স্থায়ী সনদ পেয়েছি। স্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিশ্ববিদ্যালয় কেমন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে?

: আমাদের ১৩টি বিভাগ ও ২৪টি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিনির্মাণ ও শিল্প-বাণিজ্যের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছে। উদ্যোক্তা তৈরিতে আমাদের ভূমিকা রয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সম্পর্কে বলুন-

: বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরাজমান জ্ঞান আহরণ পূর্বক তা বিতরণ এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টি। আমরা শুরু থেকেই জ্ঞান সৃষ্টির কাজকে গুরুত্ব দিয়েছি। শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের পদোন্নতির ব্যাপারে আমরা গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আসছি। এ খাতে আমাদের বরাদ্দ দিনদিন বাড়ছে। যথার্থ ব্যয়ে সময়মতো গবেষণা প্রকল্প সম্পাদনে আমাদের সেন্টার অব এক্সিলেন্স বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস ও পড়াশোনার পরিবেশ সম্পর্কে বলুন-

: উত্তরার ১৭/এইচ নম্বর সেক্টরে আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস। ছাত্রছাত্রীদের কাম্য সব সুযোগ-সুবিধা আমরা নিশ্চিত করেছি। চাহিদাসম্পন্ন বেশকটি নতুন কোর্স প্রবর্তন করেছি। সবকটি বিভাগে প্রয়োজনীয় গবেষণাগার রয়েছে। শিল্পের সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। 

বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম  রয়েছে?

: শিক্ষার্থীদের মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের একাধিক ক্লাব রয়েছে। এ ছাড়াও বছরব্যাপী বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দিবসভিত্তিক উৎসব এবং বনভোজনের আয়োজন করা হয়।

ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

: ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষকরা অত্যন্ত দক্ষ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদলে তৈরি, শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। ইংরেজি, অংক ও কম্পিউটিংয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য রেমিডিয়েল কোর্সের ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চশিক্ষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি সর্বনিম্ন ফি ধার্যসহ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ও অন্যান্য চার্জ সহনশীল রাখছে। স্কলারশিপ, ২০%-১০০% ফি মওকুফ ও মেধা বৃত্তি হিসেবে পূর্বে প্রদত্ত ফি মওকুফের পরিমাণ আরও বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের লাইব্রেরি সমৃদ্ধ এবং ইউজিসির বিডিরেনের সঙ্গে সংযুক্ত। লাইব্রেরিতে আমাদের বইয়ের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার ৭৩৭। গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব।  অর্থাৎ টিকে থাকতে হলে এবং সার্বিক উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবমুখী করতে হবে। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে OBE curriculum এর সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সম্পৃক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর