সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

কম খরচে বিশ্বমানের শিক্ষা

অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, পরিচালক, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চেয়ারম্যান, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কম খরচে বিশ্বমানের শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) পরিচালক ও নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘দেশকে এগোতে হলে উচ্চশিক্ষার সংস্কার, সংকট নিরসন এবং উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই; যেখানে শিক্ষাকে আমরা জাতির মেরুদণ্ড বলি, সেখানে শিক্ষা খাতে অবহেলা করে রাষ্ট্র প্রহসন রচনা করছে।’ আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ বলেন, দেশে নতুন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পর যেখানে ৩ থেকে ৫ জন ডক্টরেটধারী শিক্ষক থাকেন সে বিশ্ববিদ্যালয়কেও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেটধারী শিক্ষক রয়েছে ২৭৫ জন। দেশ-বিদেশের ২৫০ জনের মতো ফুলব্রাইট প্রফেসর রয়েছেন। অথচ এমন বিশ্ববিদ্যালয়কে ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। শিক্ষায় এর চেয়ে বড় নৈরাজ্য একটা রাষ্ট্রে আর কী হতে পারে! এ শিক্ষাবিদ বলেন, জাতিসংঘের নলেজ ইনডেক্সে আমাদের দেশ ১৩৮টি দেশের মধ্যে ১২১তম স্থানে রয়েছে। অর্থাৎ আমরা লোয়েস্ট কোয়ালিটি এডুকেশন দিচ্ছি শিক্ষার্থীদের, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। শিক্ষা খাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক কম বাজেট বরাদ্দ রেখেছি। শিক্ষকদের এখানে অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে হয়। শিক্ষা নিয়ে এত অবহেলা হলে শিক্ষার মান উন্নয়নের আশা রাখা আমাদের জন্য বিলাসিতা। তিনি বলেন, আমি ১৯৯৩ সালে আমেরিকায় পড়াশোনা শেষে যখন দেশে ফিরলাম তখন একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে ২৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরির অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি সেখানে যোগদান না করে আইবিএতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছি মাত্র ২৮০০ টাকার বেসিক স্যালারিতে। এ অধ্যাপক বলেন, শিক্ষকরা অনেক টাকা চান না, একটু স্বস্তিতে থাকতে চান তারা। শিক্ষকদের পেট না চললে তারা মানসম্মত শিক্ষা দেবেন কীভাবে? ড. আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ বলেন, আগে বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরি বাদ দিয়ে মানুষ শিক্ষকতায় আসত। আর এখন শিক্ষকতা বাদ দিয়ে অন্য চাকরিতে চলে যায়। কারণ শিক্ষকতার চেয়ে বিসিএস ক্যাডারসহ বিভিন্ন চাকরিতে নিরাপত্তা বেশি, ক্ষমতা, বেতনসহ অন্য সুবিধাও বেশি। তাহলে একজন শিক্ষার্থী ছাত্রজীবনে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর কেন শিক্ষকতায় আসবে? আমি মনে করি দেশের সেরা শিক্ষার্থীদের সব থেকে বেশি বেতনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া দরকার।

দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানসম্মত শিক্ষা লাভের অধিকার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেখানে পাবলিক প্রাইভেটকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। জাতীয় অর্থনীতিতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। নর্দান ইউনিভার্সিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি সেবার জন্য, ব্যবসার জন্য নয়। দেশে বিদ্যমান যেসব বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্মত শিক্ষাদান করছে তাদের মধ্যে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি সবচেয়ে কম।  এখানে শিক্ষার্থীরা কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে। রাজধানীর অদূরে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ ও দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সব আয়োজন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর