সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
গ্রিন ইউনিভার্সিটি

স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপাচার্য, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি

গ্রিন ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ছিল ১৩৫টি; যা ২০২৩ সালে ১৭৯ এবং ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৭৫টি হয়েছে

 

গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেছেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ নামটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক যে শব্দটি, তা হলো- ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’। মূলত এ লক্ষ্য সামনে রেখেই স্মার্ট, যুগোপযোগী, মানবিক মূল্যবোধ ও দক্ষতাসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের এ প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি অত্যাধুনিক ও উন্নত ভৌত-কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ ক্যাম্পাস শব্দগুলোও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইউনিক উদ্যোগের একটি হলো শিক্ষক প্রশিক্ষণ। এখানে একজন শিক্ষককে যোগদানের পর বাধ্যতামূলকভাবে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। শিক্ষার মানের সঙ্গে আমরা কোনো আপস করি না। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, গবেষণায় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি নিয়মিত চালু রয়েছে ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’; যেটা শিক্ষকদের গবেষণায় আরও বেশি উৎসাহ বাড়াচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় রিচার্স গ্র্যান্ট হিসেবে প্রদান করছে ৫ মিলিয়ন তথা ৫০ লাখ টাকা। গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রিন ইউনিভার্সিটির ৪৫ জন শিক্ষক নিজেদের এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত করেছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে স্কুপাস ইনডেক্সভুক্ত জার্নালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ছিল ১৩৫টি; যা ২০২৩ সালে ১৭৯ এবং ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৭৫টি হয়েছে। অর্থাৎ দিনদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, ভারত, মালয়েশিয়াসহ বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় শিক্ষা ও সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে; যেটা আমাদের শিক্ষা-গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছে। নিয়মিতভাবে চালু রয়েছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি’ এবং ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এর মাধ্যমে শুধু শিক্ষক নয়, ছাত্রছাত্রীরাও গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে, হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে সবুজ ও নান্দনিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। সামগ্রিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে এ ক্যাম্পাস নির্মাণের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যেই আমরা স্থায়ী সনদ অর্জন করেছি। এখানে ৬ তলাবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবনের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন নয়টি এক তলাবিশিষ্ট ভবন রয়েছে। যেখানে দুই শতাধিক আসনসমৃদ্ধ ফুডকোর্ট, ছয়টি ভবনে ক্লাসরুম-ল্যাবরেটরি, একটিতে গ্রন্থাগার এবং অন্য ভবনটিতে আট বিভাগীয় অফিস রয়েছে। অন্য পাশেরয়েছে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে তৈরি খেলার মাঠ। এসব ভবন ছাড়াও প্রশস্ত একাডেমিক ভবনের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।

ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে বড় একটি অংশজুড়ে ‘গ্রিন ওপেন স্পেস’ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রুপ-স্টাডির সুযোগ রয়েছে।  ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যাতায়াতের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে অর্ধশতাধিক বাস-মাইক্রো বাসের ব্যবস্থাও আছে। 

তিনি বলেন, ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ দায়িত্ব গ্রহণের পর গ্রিন ইউনিভার্সিটির মূল প্রতিপাদ্যই ছিল ‘গ্রহণযোগ্য টিউশন ফিতে মানসম্মত শিক্ষা’। সুতরাং আমরা মানে আপস করি না। স্থায়ী ক্যাম্পাস এবং এখানে ইনডোর-আউটডোর সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত  হওয়ায় আমাদের সার্বিক মানোন্নয়ন আরও বেড়েছে, ভবিষ্যতেও বাড়বে।

সর্বশেষ খবর