সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ

লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান

অধ্যাপক ইমরান রহমান, উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান

দেশে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের এক যুগ পর যাত্রা শুরু ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর। লিবারেল আর্টসকে বলা হয় শিক্ষার একটি দর্শন। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, এমআইটির মতো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই দর্শনের চর্চা করে থাকে। একজন শিক্ষার্থী শুধু একটি বিষয়েই তার জানার পরিধিকে সীমাবদ্ধ করে রাখবে না; বরং একজন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রও ইতিহাস, ভাষা, সমাজবিজ্ঞানসহ অন্যান্য জীবনমুখী শিক্ষায় সমৃদ্ধ ও দক্ষ হয়ে উঠবে এটিই হচ্ছে লিবারেল আর্টসের মূল কথা। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় মাত্র ১৪ বছর বয়সে একজন ছাত্রকে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হতে হয়। আর্টস, কমার্স নাকি সায়েন্স? একটি অযুত সম্ভাবনার অপমৃত্যু ঘটে যায় ওই একটি সিদ্ধান্তের সাথেই। ওই অল্প বয়সেই একজন শিক্ষার্থীকে তার বাকি জীবন কীভাবে কাটবে এবং সে কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবে তার নকশা এঁকে ফেলতে হয়। উপাচার্য বলেন, লিবারেল আর্টস এই বৃত্তকে ভাঙার কথা বলে। কারণ শিক্ষার প্রথম উদ্দেশ্যই হচ্ছে নিজের মেধা এবং চিন্তাশক্তিকে বিকশিত করে শিক্ষার্থীর মধ্যে স্বাধীনভাবে সৃজনশীল চিন্তাশক্তির ক্ষমতা তৈরি করা। লিবারেল আর্টসের আরেকটি দিক হচ্ছে- শিক্ষার্থীর ভিতর সারা জীবনের জন্য শেখার ও জানার আগ্রহ তৈরি করে দেওয়া। একুশ শতকে প্রযুক্তির এত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে যে, আজ আমরা যেটি শিখছি পরবর্তী চার বছরে শিক্ষার বাজারে সেটি অচল হয়ে পড়ছে। টিকে থাকতে হলে নতুন করে আবার নতুন জ্ঞান আমাদের অর্জন করতে হবে। এ জন্যই শেখার প্রতি ভালোবাসা তৈরির কথা বলে লিবারেল আর্টস। লিবারেল আর্টস প্রশ্ন করতে শেখায়। কারণ শেখার প্রাথমিক ধাপটিই হচ্ছে- প্রশ্ন করতে পারা।  শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ব্যক্তির মধ্যে মুক্তবুদ্ধির উন্মেষ ঘটানো এবং সেটির চর্চা করা। আমেরিকায় ব্যাপকভাবে এই দর্শনের চর্চা করা হয়। বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করলে দেখা যাবে- এর মধ্যে অন্তত ৬০/৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকার। এসবের প্রভাবেই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি নোবেল প্রাইজধারী ব্যক্তিও কিন্তু আমেরিকার। এসব কিছুর পরিপ্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের ফাউন্ডাররা ইউল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। ৫৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু হয় ইউল্যাবের। এখন আমাদের শিক্ষার্থীর  সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার। একটি বিশ্ববিদ্যালয় কতটা ভালো করছে সেটি যাচাই করা হয় তার গবেষণা খাত দিয়ে। এ খাতে ইউল্যাবের বার্ষিক বরাদ্দ ৯৬ কোটি টাকা, যেটি বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সর্বশেষ খবর