সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়ার লক্ষ্য

অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া, উপাচার্য, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়ার লক্ষ্য

ইউআইইউকে আমরা গবেষণাসমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বর্তমানে ইউআইইউতে ১৩০টিরও অধিক গবেষণা প্রকল্প চলমান...

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-এর যাত্রা শুরু ২০০৩ সালের অক্টোবরে। বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ ও মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরির ক্ষেত্রে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দিই না। ইউআইইউর শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট অর্জন করে নিতে হয়। পরিশ্রমী মানসিকতা না থাকলে আমরা কাউকে ভর্তি করি না। সংখ্যা নয় আমরা শিক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকি। ফলে চাকরির বাজারে আমাদের শিক্ষার্থীরা সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। উপাচার্য বলেন, ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন শুরুর জন্য বিভিন্ন করপোরেট এক্সপার্টদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, ওয়ার্কশপ এবং সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়। সিভি রাইটিং, মক ইন্টারভিউ, কেস স্টাডি এবং সফট স্কিলস যেমন- কমিউনিকেশন স্কিল, নেগোসিয়েশন স্কিল এবং প্রবলেম সলভিং স্কিলসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের জব ফেস্টিভ্যাল এবং ক্যাম্পাস ইন্টারভিউর মাধ্যমে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরাসরি চাকরি প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকি। যার ফলশ্রুতিতে ইউআইইউ গ্র্যাজুয়েটরা দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানসহ বিদেশে শিক্ষকতা এবং বড় করপোরেট হাউসে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমেরিকা, কানাডা, ইতালিসহ ইউরোপের শীর্ষ করপোরেটের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত রয়েছে। তিনি বলেন, ইউআইইউকে আমরা গবেষণাসমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বর্তমানে ইউআইইউতে ১৩০টিরও অধিক গবেষণা প্রকল্প চলমান রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলে ইউআইইউকে গবেষণার দিক দিয়ে সবার ওপরে নিয়ে যাওয়া। দেশের অন্যান্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতের ৯৯ শতাংশ অর্থায়ন আসে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি থেকে। সেখানে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে শুধু ইউআইইউ-এর ম্যানেজিং বোর্ডই প্রতি বছর ২ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দিচ্ছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে গবেষণার জন্য আমরা অনেক বড় বড় ফান্ড পাচ্ছি। মোট কথা গবেষণা খাতকে সমৃদ্ধ করতে যা যা করা প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। আমাদের এই প্রয়াস ইতোমধ্যে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিশ্বের ২ পার্সেন্ট শীর্ষ গবেষকদের এক তালিকা প্রকাশ করেছে; আর সেই তালিকায় ইউআইইউ-এর দুজন শিক্ষক রয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলে সেরা ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আমাদের নাম থাকবে।

শিক্ষাঙ্গনের মনোরম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ইউআইইউ ক্যাম্পাস ২৫ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এর মধ্যে ৭ বিঘার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিং। বাকিটা খেলার মাঠ। এমন মুক্ত, খোলামেলা পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মানসিক প্রশান্তি নিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে। শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের দিকেও আমরা সমান গুরুত্ব দিই। আমাদের সব মিলিয়ে ২৬টি ক্লাব রয়েছে। পাশাপাশি রোবটিক্স, প্রোগ্রামিং এসবও রয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সোসাইটি আয়োজিত ক্যানস্যাট-২০২৪ প্রতিযোগিতায় এশিয়ায় তৃতীয় স্থান এবং বিশ্বে ১১তম স্থান অর্জন করেছে ইউআইইউ অ্যাস্ট্রো টিম।

সর্বশেষ খবর