রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সুইমিংপুলের ড্রেসিং রুমে ছিদ্র

মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের বেহাল দশা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সুইমিংপুলের ড্রেসিং রুমে ছিদ্র

সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স সুইমিংপুলে ভিডিও চিত্রে ধারণকৃত এই সেই ছিদ্র। (ইনসেটে)

ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সুইমিংপুলের ঘটনা নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এক মহিলা সাঁতারের পোশাক বদলের সময় কেউ একজন ছাদের ছিদ্র দিয়ে তাকে দেখছেন তা তিনি লক্ষ্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার  পর  সাঁতার শিখতে আসা মহিলারা ক্রীড়া  কমপ্লেক্সের অফিসে অভিযোগ করলেও তাৎক্ষণিক কোনো ফল পাননি। বাধ্য হয়ে তারা ঘটনার ভয়াবহতা প্রকাশ করতে ওই ছিদ্রপথটি আবিষ্কার করেন এবং সেটি দিয়ে যে ভিতরের পোশাক পরিবর্তন দেখা যায় সে দৃশ্য ফেসবুকে আপলোড করেন। এই ঘটনার পর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সাঁতার প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ।

কমপ্লেক্সে সাঁতার শিখতে আসা মহিলারা বলেন, সাঁতার শুরুর আগে ও পরে তাদের গা ভেজানো পোশাক বদল করতে হয়। কিন্তু পোশাক বদলের কক্ষগুলো গ্যালারির ঠিক নিচে কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সিলিংয়ে ছোট্ট ছোট্ট একাধিক ছিদ্র তৈরি করে রেখেছে। এ কক্ষগুলো গ্যালারির নিচে হওয়ায় গ্যালারিতে বসেই পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ ছিদ্র দিয়ে দেখা যায়। জাতীয় ক্রীড়াপরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস গতকাল দুপুরে ক্রীড়া কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমপ্লেক্সে সাঁতার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

এ ব্যাপারে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানা বলেন, ক্রীড়াপরিষদ সাঁতার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে এটা সত্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এ ধরনের ঘটনার পরও কেউ তাকে লিখিত অভিযোগ জানালো না কেন? চিৎকার করল আর কেউ পালিয়ে গেল তা বিস্ময়ই মনে হচ্ছে। তাছাড়া ছিদ্র থেকে একজন পুরুষের চোখ নাকি দেখা গেছে। বাস্তবে কিন্তু সাঁতার চলাকালে সুইমিংপুলে কোনো পুরুষ প্রবেশ করতে পারেন না। যাক এরপরও যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অভিযোগ না করে ফেসবুকে আপলোড করল কেন? এটা কি কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্ত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরও আমি ঘটনার তদন্ত করতে জাতীয় ক্রীড়াপরিষদকে চিঠি দিয়েছি। তবে ইঞ্জিয়াররা পুরো গ্যালারির ছাদ পরীক্ষা করে দেখেছেন। তারা বলছেন, শুধু পোশাক পরিবর্তন নয়, ছাদে বেশ কিছু ছিদ্র রয়েছে। তবে এ ছিদ্র এত ক্ষুদ্র কোনোভাবেই ডেসিংরুমে চোখ রাখা সম্ভব নয়। ডানা বলেন, তদন্তের স্বার্থে ছিদ্রগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি। তদন্ত করে আসল রহস্য উন্মোচন হবে আশা রাখি। তবে ফেসবুকে এ ভিডিও চিত্র কীভাবে  ধারণ করা হলো  সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। ডানা বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই। এ পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ।

সর্বশেষ খবর