বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কুমিল্লার দ্বিতীয় জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিপিএলের চতুর্থ দিনেও রাতের আলোয় উইকেটের সঙ্গে লড়তে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। বোলারদের সুইং, গতি, বাউন্স ও টার্নের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি ব্যাটসম্যানরা। নাভিশ্বাস উঠেছে রান করতে। প্রাণ ওষ্ঠাগত উইকেটে মাশরাফি বিন মর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল বুলস হেরেছে ৮ উইকেটে। আসরে বরিশালের এটা তৃতীয় ম্যাচে প্রথম হার এবং কুমিল্লার সমসংখ্যক ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। আগের দিন সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে ১০৮ রান করেও অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছিল বরিশাল। অসাধারণ জয় উপহার দিয়েছিলেন আল-আমিন হ্যাটট্রিক করে। কাল ৮৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও স্বপ্ন দেখছিলেন বরিশালের সমর্থকরা। কিন্তু প্রতিদিন যে এক নয়, কাল টের পেল বরিশাল। টের পেলেন আল-আমিন। শয়ের নিচে রান করে জয়ের স্বপ্ন দেখা যে কাল্পনিক, কাল হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বরিশালের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। সিলেটের বিপক্ষে যে লড়াকু মানসিকতা ছিল, কাল ছিল না তার ছিটেফোঁটা। মাশরাফি বাহিনীর আগ্রাসী ক্রিকেটে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে ম্যাচ হেরেছে ২ ওভার আগে। কালই প্রথম ম্যাচের ব্যবধান ছিল বিস্তর। প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সের কাছে কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা ডাইনামাইটস হেরেছিল ৬৯ রানে। প্রথমে ব্যাট করে বরিশাল ১৮.৩ ওভারে ৮৯ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন কেভিন কুপার ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে। ১৭ রান করেন ওপেনার রনি তালকুদার। বরিশালকে গুঁড়িয়ে দিতে সামনে থেকে দুরন্ত বোলিং করেন কুমিল্লার দুই বিদেশি নুয়ান কুলাসেকারা ও আসকার জাইদি। বিশেষ করে কুলাসেকারা ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ৩ ওভারের স্পেলে ৮ রানে নেন ৩ উইকেট। টার্গেট ৯০। ওভারপ্রতি দরকার ৪.৫ রান। মামুলি টার্গেটে ২৩ রানের ভিত দেন কুমিল্লার দুই ওপেনার ইমরুল কায়েশ ও মাহামুদুল হাসান। ইমরুল ফেরেন দলীয় ২৩ রানে এবং মাহামুদুল ৬০ রানে। এরপর জয়ের বাকি কাজটা সারেন মারলন  স্যামুয়েলস ও শুভাগত হোম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর